সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অ্যাসিড হামলার শিকার যুবতী। ঘটনাটি ঘটে দুর্গাপুর ইস্পাতনগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আইনিস্টাইন রোডের জেসি বোস বস্তিতে। সাবিয়া বেগম নামে ওই মহিলা স্বামী পরিত্যক্তা। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে ভরতি করা হয়েছে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছ’য়েক আগে যুবতীকে ছেড়ে চলে যান তাঁর স্বামী। তারপর থেকে দুই সন্তান নিয়ে বাবার কাছেই থাকতেন সাবিয়া। পরিচারিকার কাজ করতেন তিনি। বছর দেড়েক আগে মোবাইলে ‘মিসড কল’ মারফত সাবিয়ার পরিচয় হয় কলকাতা নিবাসী যুবক রফিক মণ্ডলের সঙ্গে। সাবিয়াকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় রফিক। এই প্রস্তাবে সাবিয়ার পরিবারের আপত্তি ছিল। তবে শোনা যায়, তারপরও রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল সাবিয়ার। মাঝে মধ্যে দু’জনের দেখা-সাক্ষাৎ হত।
অভিযোগ, বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হওয়ার জন্য বারবার সাবিয়াকে চাপ দিত রফিক। তাঁকে ফোন করেও উত্যক্ত করত। সোমবার সকালে সাবিয়াকে ফোন করে রফিক জানায়, সে কলকাতা থেকে দুর্গাপুরে এসেছে। সাবিয়াকে দেখা করতে ডাকে রফিক। তারপর কথা বলার অছিলায় সাবিয়ার বাড়ির সামনেই তাঁর মুখে অ্যাসিড ছোঁড়ে।
[আরও পড়ুন: সাংসদ সুনীল মণ্ডলের ভাইয়ের রহস্যমৃত্যু, লরি থেকে উদ্ধার দেহ]
আচমকা এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন সাবিয়া। কোনওমতে এক হাত দিয়ে মুখের একাংশে ঢাকতে পেরেছিলেন। কিন্তু সেই হাতটি পুড়ে গিয়েছে। সাবিয়ার মুখের বাকি অংশও পুড়ে গিয়েছে। আহত অবস্থায় যুবতীকে মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সাবিয়ার ভাই সাদ্দাম শেখ বলেন, “দিদিকে মারার জন্যই আক্রমণ করে ওই যুবক। পরিবার থেকে এই বিয়েতে আপত্তি ছিল। কারণ ওই ছেলেটিকে আমরা কেউ চিনি না। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই ছেলেটি ভাল নয়। তাই দিদিকে খতম করতেই এই হামলা।”
খবর পেয়ে মহকুমা হাসপাতালে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ACP-সহ দুর্গাপুর থানার পুলিশ আধিকারিকরা হাসপাতালে যান। আক্রান্ত ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পর ACP ধ্রুবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগ হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ব্যাটারির জল জাতীয় কিছু ছুঁড়েছে বলে মনে হচ্ছে। অভিযুক্ত যুবক ফেরার। পুলিশ তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।”