অর্ণব দাস, বারাকপুর: অত্যাধুনিক উপায়ে বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ! বিল ফাঁকি দিতে মিটারে লাগানো হয় রেজিস্টেন্স সার্কিট। বিদ্যুৎ দপ্তর তদন্তে নামতেই বারাকপুরের তালপুকুর এলাকায় তিনটি বাড়িতে এমন কারচুপি ধরা পড়েছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে জরিমানাও করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর।
স্থানীয় এবং বিদ্যুৎ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বিদ্যুৎ দপ্তর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকমাস ধরে কয়েকটি বাড়িতে বিল অস্বাভাবিক হারে কমে গিয়েছে। যেখানে বিল হওয়ার কথা ছিল দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা, সেখানে বিল হচ্ছে দুশো থেকে আড়াইশো টাকা। সন্দেহ হওয়ায় তদন্ত শুরু করলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আসে।
[আরও পড়ুন: স্টোকসদের বিরুদ্ধে নামার আগে স্বস্তিতে কেএল রাহুল! কী সিদ্ধান্ত নিলেন রোহিত?]
দেখা যায়, বিদ্যুতের মিটারে বসানো হয়েছে রেজিস্ট্যান্স সার্কিট। এর ফলে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তার ১০ শতাংশ রিডিং উঠছে মিটারে। কিন্তু সরকারি সিল লাগানো মিটারে কীভাবে এই সার্কিট বসানো হল, তার তদন্তে নেমে বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারেন, সিলটিকে গরম জলে ডুবিয়ে সেটিকে বড় করার পর সিলটিকে খুলে নেওয়া হচ্ছে। তার পর রেজিস্ট্যান্স সার্কিটটিকে মিটারে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর পর সেই সিলটিকে ফের মিটারে লাগিয়ে ঠান্ডা জলে ডোবালে পুনরায় আগের মত ছোট হয়ে যাচ্ছে।
বিদ্যুৎ দপ্তরের থেকে জানা গিয়েছে, বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগে টিটাগড় থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ সেলিম আনসারিকে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৪৫৯টাকা, আসলাম আনসারিকে ১ লক্ষ ৬৫ হাজার ১৬টাকা এবং মহম্মদ মুস্তাফাকে ২৪ হাজার ৫৬ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনজনের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।