সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভরতি এক মানসিক ভারসাম্যহীন রোগীর পকেটে গোছা গোছা টাকা! কখনও গুনে দেখছেন, আবার কখনও পকেটে ঢুকিয়ে রাখছে। বছর পঞ্চান্নর রোগীর ওই কাণ্ড দেখে চক্ষু চড়কগাছ নার্স-সহ দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের কর্মীদের। ওই প্রৌঢ়ের কাণ্ড কারখানায় চরম বিড়ম্বনায় মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও বুধবার এই খবর জানতে পেরে ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থেকে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে আসেন। নিয়ে যান মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী সামিউল হুদা খানকে।
সোমবার দুপুরে দুর্গাপুরের মুচিপাড়া থেকে ওই রোগীকে ভারসাম্যহীন অবস্থায় দেখতে পেয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে আসেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। তাঁকে ভরতি করা হয় হাসপাতালে। মঙ্গলবার রাতে ওয়ার্ডের নার্স ও কর্মীরা দেখেন ওই প্রৌঢ় পকেটে থেকে গোছা গোছা টাকা বের করে গুনছেন। আবার ঢুকিয়ে রাখছেন। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান কর্মী ও নার্সরা। এত ৫০০ টাকার নোট ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ভবঘুরে প্রৌঢ়ের কাছে এল কীভাবে? খবর দেওয়া হয় হাসপাতাল সুপারকে। সুপার ধীমান মণ্ডল গুনে দেখেন মোট ৯৯ হাজার টাকা রয়েছে। ওই টাকা সুপার নিজের হেফাজতে রেখে দেন।
[আরও পড়ুন: ‘২৩ বছরে কখনও শান্তি পাইনি’, স্বামীকে খুনের পর স্বীকারোক্তি স্ত্রীর]
নিজের নাম ঠিকানা বলতে পারছিলেন না ওই প্রৌঢ়। কখনও বলছেন তাঁর বাড়ি ঝাড়খন্ডের গিরিডি স্টেশন রোডে। আবার কখনও বলছেন হুগলি জেলায়। নিজের একাধিক নাম বলেছিলেন। বুধবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় সামিউল হুদা খানের ছবি-সহ ভিডিও দেখতে পান তাঁর দাদা-সহ পরিবারের সদস্যরা। গিরিডি থেকে তাঁরা সোজা চলে যান দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। তাঁদের কাছ থেকেই নাম, পরিচয় জানা যায় ওই রোগীর। রোগীকে তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। দাদার হাতেই তুলে দেওয়া হয় ৯৯ হাজার টাকা। সামিউল হুদা খানের প্রতিবেশী মহম্মদ আজাদ খান বলেন, “গত ২৫ মার্চ ঘর থেকে বেরিয়ে যান সামিউল হুদা খান। ব্যবসায়ী দাদার কাছে রাখা ১ লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যান। উনি দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীন। চিকিৎসা চলছে।”