তারক চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: পাচারের আগে বাহারি কাচের পাত্রে রাখা প্রায় ৩০ কোটি টাকার সাপের বিষ (Snake Venom) উদ্ধার করল বনদপ্তর। শিলিগুড়ির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক পাচারকারীকেও। ধৃত ব্যক্তি উত্তর দিনাজপুরের বলে জানা গিয়েছে। ঘোষপুকুর রেঞ্জের অফিসাররা জানাচ্ছেন, উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ ফ্রান্স (France)থেকে বাংলাদেশ হয়ে এসেছিল এদেশে পাচারের জন্য। কিন্তু তার আগেই তা বাজেয়াপ্ত করা গিয়েছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মহম্মদ সারাফাত। ধৃত উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) চোপড়ার বাসিন্দা। রবিবার বনদপ্তরের আধিকারিকরা গোপন সূত্রে খবর পান, রবিবার গোপন পথে সাপের বিষ পাচার করা হবে। সেই খবর অনুযায়ী এদিন ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের মহানন্দা নদীর ব্রিজে ওঁৎ পেতে বসেন বনকর্মীরা। বিকেলে সেখানে একটি মোটরসাইকেল আটক করে তল্লাশি চালাতেই চালকের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় এক জার ভরতি সাপের বিষ!
[আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মোষের লড়াই! পুরুলিয়ায় প্রাণ গেল প্রৌঢ়ের]
বন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ফ্রান্সের একটি সংস্থার তরফে তৈরি করা সলিড সাপের বিষ একটি মালবোঝাই জাহাজ থেকে চুরি হয়েছিল বহু বছর আগে। সেই বিষের একাংশ মায়ানমার হয়ে বাংলাদেশ (Bangladesh) পৌঁছয়। বাংলাদেশ থেকে আবার তা উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে হাতবদল হয়ে সাপের বিষ এই দেশে আসে। একটি পাচার চক্রের মধ্যস্থতায় সেই বিষ নেপালে পাচার করার উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে তার আগেই বনদফতের অভিযানে এই বিষ ধরা পড়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের বেফাঁস দিলীপ ঘোষ, মহিলা ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অপমান বিজেপি নেতার]
উদ্ধার হওয়া বিষের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ধৃত মহম্মদ সারাফাতকে শিলিগুড়ি (Siliguri) আদালতে তোলা হবে। এই বিষয়ে ঘোষপুকুর রেঞ্জের রেঞ্জার সোনম ভুটিয়া বলেন, “বাংলাদেশ হয়ে এই সাপের বিষ ভারতে প্রবেশ করেছে। পাচারের ছক ছিল। ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কীভাবে এই সাপের বিষ এল, তার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।”