সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে কত পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দাখিল করল বিরেন সিং সরকার। সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই বিষয়ে হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে শুক্রবার। এবং এই রিপোর্ট কেবলমাত্র বিচারপতিদের জন্যই।
গত ৬ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) মণিপুর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা সংস্থার কাছে উদ্ধার করা অস্ত্র সম্পর্কে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দিয়েছিল। শুক্রবার সেই নিয়েই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। এই বিষয়ে তুষার মেহতা জানিয়েছেন, যে যে বিষয়ে বিতর্ক হচ্ছে তা নিয়ে সব তথ্য সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত কমিটির নজরে আনা হয়েছে। প্যানেল সেগুলি খতিয়ে দেখছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর এবিষয়ে শুনানি হবে।
[আরও পড়ুন: দীপাবলিতে ‘সুপ্রিম’ শুভেচ্ছা, তবে ‘পরিবেশবান্ধব বাজি’তে না শীর্ষ আদালতের]
উল্লেখ্য, গত মাসেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নির্দেশ দেন, অশান্ত মণিপুরে ত্রাণ, পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের মতো বিষয়গুলি খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিতে থাকছেন জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি গীতা মিত্তাল, বম্বে হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শালিনী ফানসালকর জোশী। থাকবেন দিল্লি হাই কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আশা মেনন। এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন প্রাক্তন বিচারপতি গীতা মিত্তাল। এই কমিটি মণিপুরের পীড়িতদের জন্য কাজ করবে। ত্রাণ, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণ ও আক্রান্তদের তদারকি করবে।
উল্লেখ্য, ৩ মে ‘ট্রাইবাল সলিডারিটি মার্চ’ শুরু করে ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’। মেতেইদের তফসিলি উপজাতির তকমা না দেওয়ার দাবিতেই ছিল এই মিছিল। ক্রমেই তা হিংসাত্মক আকার ধারণ করে। গোটা রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে হিংসা। তার পর থেকে গত পাঁচ মাসে প্রায় দুশোর ওপর মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। আহত বহু। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। যা নিয়ে বারবার সমালোচনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।