সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতিদাঙ্গায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur)। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সরকার মনে করছে এই হিংসার নেপথ্যে শুধু মণিপুরের স্থানীয়রা নন। সঙ্গে রয়েছে বহিরাগত বা বিদেশি শক্তির মদত। বিশেষ করে হিংসার নেপথ্যে মায়ানমারের বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছে মণিপুরের বিজেপি সরকার। তাই তাঁদের রুখতে বড়সড় পদক্ষেপ করল এন বিরেন সিং (N Biren Singh) সরকার।
শনিবার মণিপুর সরকার জানিয়েছে, রাজ্য যত বেআইনি অনুপ্রবেশকারী বসবাস করছে, তাদের সবার বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেই কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, মাত্র দু’মাসের মধ্যে সেরাজ্যে বসবাসকারী মায়ানমারের বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের সব তথ্য সরকারের হাতে চলে আসবে। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস (NCRB) ব্যুরোর একটি দল কীভাবে এই বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, মণিপুরের আধিকারিকদের সেই প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বলেও খবর।
[আরও পড়ুন: নেট-সেটে উত্তীর্ণ লোধা শবর সম্প্রদায়ের যুবক, অধ্যাপক নয়, ছেলে প্রাথমিক শিক্ষক হোক, চান বাবা]
সম্প্রতি মণিপুর হিংসা নিয়ে একটি রিপোর্ট দাখিল করেছে মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিংয়ের বিজেপি সরকার। উদ্বেগ বাড়িয়ে ক্যাবিনেট সাবকমিটির ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মায়ানমার থেকে আসা হাজার হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে মণিপুরে। ভারতের জমিতে রীতিমতো গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে তারা। সরকারের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট শিবিরে যেতে চাইছে না তারা। বর্তমানে মণিপুরে যে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তার নেপথ্যেও এই অনুপ্রবেশকারীদের হাত আছে বলে মনে করছে মণিপুর সরকার।
[আরও পড়ুন: হস্টেলের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণহানি! বিহারের কলেজে পড়তে গিয়ে বাংলার যুবকের রহস্যমৃত্যু]
উল্লেখ্য, মণিপুরে সক্রিয় রয়েছে বহু বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার মতে, এই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মদত দিচ্ছে চিন ও আইএসআই। সেই সঙ্গে রাজ্যে বসবাসকারী অনুপ্রবেশকারীদেরও সন্দেহের আওতায় রাখা হচ্ছে।