সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্কিত আফস্পা আইনের অন্তর্গত গোটা মণিপুরকেই ‘উপদ্রুত’ এলাকা ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। তবে রাজধানী ইম্ফল-সহ ১৯টি থানার এলাকা সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইনের আওয়তায় পড়বে না। আগামী ছয় মাসের জন্য এই আইন কার্যকর থাকবে বলে খবর সূত্রের।
বুধবার এবিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী এন বিরেন সিং সরকার (N Biren Singh)। যেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যে বিভিন্ন চরমপন্থী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ রুখতে সশস্ত্রবাহিনী ব্যবহার করা হবে। বর্তমানে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কাবেরী নিয়ে এবার ‘সুপ্রিম’ লড়াই! জল না ছাড়ার সিদ্ধান্তে অনড় কর্নাটক]
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই রাজ্যে সমস্ত রকম ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করে মণিপুর সরকার (Manipur)। তার পরেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে দুটি ছবি। প্রথম ছবিতে দেখা গিয়েছে, ১৭ ও ২০ বছর বয়সি দুই পড়ুয়া বসে রয়েছে। পরের ছবিতেই তাদের মৃতদেহ দেখা গিয়েছে। মৃতদেহের পিছনেই অস্ত্র হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে দুই ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মৃত ওই দুই পড়ুয়া গত জুলাই মাস থেকে নিখোঁজ ছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বিক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখায় পড়ুয়ারাও। এর পরই অশান্তি রুখতে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করে মণিপুর সরকার। পাঁচদিনের জন্য ফের বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা।
প্রসঙ্গত, সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন ‘আফস্পা’ তোলার দাবিতে মণিপুরে ইরম শর্মিলা চানু-র অনশনের কথা সবার জানা। সেই আইনেই এবার শান্তি ফেরানোর চেষ্টা করছেন বিরেন সিংয়ের। তবে গত মাস কয়েক ধরে মণিপুর সরকার দাবি করছে শান্তি ফিরছে রাজ্যে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারেও মত, ছন্দে ফিরছে মণিপুর। কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথা বলছে। প্রতি সপ্তাহেই এই রাজ্য থেকে সংঘর্ষ, প্রাণহানির খবর মিলছে। থেকে থেকেই জ্বলে উঠছে হিংসার আগুন।