সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মণিপুর হিংসার (Manipur Violence) তদন্তে নজিরবিহীন পদক্ষেপ সিবিআইয়ের। গত কয়েক মাস ব্যাপী সে রাজ্যে যে রক্তক্ষয়ী হিংসার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলির তদন্তে ৫৩ সদস্যের টিম তৈরি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ৫৩ সদস্যের দলের ২৯ জনই মহিলা। সিবিআই সূত্রের খবর, এই প্রথম কোনও তদন্ত প্রক্রিয়ায় এত বিপুল সংখ্যক মহিলা আধিকারিককে নিয়োগ করা হল।
সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, মণিপুরের ধারাবাহিক হিংসার তদন্তের সার্বিক পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন সিবিআইয়ের জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। তাঁর অধীনে থাকছেন তিনজন ডিআইজি। এদের মধ্যে দু’জনই মহিলা। থাকছেন একজন এসপি। মহিলাদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মামলাগুলির তদন্তের জন্য ২ জন মহিলা অ্যাডিশনাল এসপি এবং ৬ অন মহিলা ডিএসপিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এর বাইরে ১৬ জন ইন্সপেক্টর এবং ১০ জন সাব ইন্সপেক্টর থাকছে ওই দলে।
[আরও পড়ুন: বাম-তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের সংঘর্ষে উত্তাল যাদবপুর, ছিঁড়ল রাজন্যার জামা, অজ্ঞান TMCP নেত্রী]
আসলে মণিপুরে হিংসার ঘটনায় এ পর্যন্ত ছ’হাজারের বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে পুলিশের কাছে। আরও বহু এমন অভিযোগ আছে, যা কিনা মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। এই সব অভিযোগের তদন্তপ্রক্রিয়া স্বাভাবিকভাবেই বিশাল এবং ব্যাপক। সচরাচর এই বিরাট তদন্তপ্রক্রিয়ায় স্থানীয় আধিকারিকদের বড় ভূমিকায় দেখা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে সিবিআই চাইছে তদন্তপ্রক্রিয়ায় যতটা সম্ভব স্থানীয়দের উপেক্ষা করে যেতে। যাতে পক্ষপাতিত্বের কোনও অভিযোগ না ওঠে। এমনকী, যে ৫৩ সদস্যের দল তৈরি হয়েছে, তাতেও মণিপুরের কোনও আধিকারিক নেই।
[আরও পড়ুন: ব্যবহৃত হবে না ‘পতিতা’, ‘সতী’র মতো শব্দ, লিঙ্গবৈষম্য রুখতে নির্দেশিকা সুপ্রিম কোর্টে]
মণিপুর শান্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। লালকেল্লায় স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এমনটাই দাবি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহও (Amit Shah) দাবি করেছিলেন, পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু দোষীরা যে এখনও শাস্তি পায়নি, সেটা সিবিআইয়ের এই বিশাল দল তৈরিতেই স্পষ্ট।