shono
Advertisement

শাহের বঙ্গসফরের মাঝেই ঝাড়গ্রাম বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন, দল ছাড়লেন একাধিক নেতা

বিজেপিতে ভাঙন অব্যাহত।
Posted: 11:32 AM May 06, 2022Updated: 11:32 AM May 06, 2022

সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: দলের অন্যতম শীর্ষনেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) বঙ্গ সফরের দিনেই ঝাড়গ্রাম বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। বৃহস্পতিবার বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির ১৬ জন সদস্য-সহ জেলার প্রায় ১৮টি মণ্ডল, নগর মণ্ডল, শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ-সহ বুথ স্তরের সভাপতি, সহ-সভাপতি, সম্পাদক, সদস্যরা দলের পদ ছাড়তে চেয়ে গণস্বাক্ষর করেছেন। নতুন জেলা কমিটির সদস্যরা অযোগ্য এবং দলের একনিষ্ঠ কর্মীদের অসম্মান করার অভিযোগে ওই ইস্তফার হিড়িক।

Advertisement

দিলীপ ঘোষের খাসতালুক ঝাড়গ্রামে জেলা কমিটি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মণ্ডলে গণইস্তফার হিড়িকে বেসামাল পদ্মশিবির। বর্তমান জেলা কমিটিকে তুলোধোনা করে, অযোগ্য বলে লেখা একটি চিঠি নিয়ে জেলার দলীয় কার্যালয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন পদত্যাগীরা। তবে অফিসে কোনও জেলা নেতৃত্ব ছিলেন না। তারা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে ফিরে যান।

[আরও পড়ুন: BSF’র অনুষ্ঠান মঞ্চে শাহের সঙ্গে কেন শুভেন্দু-সুকান্ত? কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিশানা তৃণমূলের]

তাঁরা জানান, এই ইস্তফাপত্র জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বিনপুর মণ্ডল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে চন্দ্রশেখর প্রতিহারকে জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। চন্দ্রশেখরবাবু বলেন, “কোনও আলাপ-আলোচনা ছাড়াই আমায় জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এই নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করতে পারব না। মামলা-মোকদ্দমায় কর্মীদের এরা সাহায্য করছে না। কোনও রকম কর্মসূচি নিচ্ছে না। সাধারণ কর্মী হিসাবে এলাকায় কাজ করব। কোনও পদে থাকতে চাই না।”

শালবনির মণ্ডল সভাপতি পূর্ণচন্দ্র মাহাতোকেও জেলা কমিটিতে আনা হয়েছে। পূর্ণচন্দ্রবাবুর বক্তব্য, “জেলা কমিটির বিরুদ্ধেই আমাদের ক্ষোভ। কর্মীদের সঙ্গে এদের কোনও যোগাযোগ নেই। কর্মীদের কোনও সম্মান জানায় না এরা। তাই জেলা কমিটির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। সাধারণ কর্মী হিসাবে কাজ করব।” এদিন এই বিষয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি তুফান মাহাতোকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

[আরও পড়ুন: চুরি হচ্ছে বাঁধের মাটি, নদীর ধারে দাঁড়িয়ে নিজেই প্রহরী রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement