সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুপূর্ণিমায় (Guru Purnima) বৃষ্টিস্নাত কলকাতা-সহ (Kolkata) রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। তার উপরে করোনার কাঁটা। তবে তা সত্ত্বেও কোভিডবিধি মেনে ছাতা মাথায় গুরুপূর্ণিমায় বেলুড় মঠে ভক্ত সমাগং।
প্রথম দফায় করোনার (Coronavirus) ধাক্কা কিছুটা সামলে গত ১০ ফেব্রুয়ারি খুলেছিল বেলুড় মঠের (Belur Math) দরজা। প্রবেশাধিকার পান ভক্তরা। মঠে ঢোকার ক্ষেত্রে মাস্ক (Mask) এবং স্যানিটাইজার (Sanitizer) ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়। তবে মঠে বসা, ভোগ খাওয়া, আরতি দেখা বন্ধ রাখা হয়। ইতিমধ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ (Second Wave) আছড়ে পড়ে দেশ তথা গোটা রাজ্যে। তার ফলে অছি পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ২২ এপ্রিল থেকে মঠ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গুরুপূর্ণিমায় একদিনের জন্য খুলেছে বেলুড় মঠ। তাতে খুশি ভক্তরা। তাই তো শনিবার সকালে বৃষ্টি (Rain) উপেক্ষা করে বেলুড় মঠে ভিড় জমান তাঁরা।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহে ফের বাতিল Kanwar Yatra, শিবভক্তদের কাছে কেন গুরুত্বপূর্ণ এই যাত্রা?]
এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ খুলেছিল মঠের দরজা। সকালে ১১টা অবধি নির্ধারিত ছিল মঠে প্রবেশের সময়সীমা। বিকেল চারটে থেকে আবার পাঁচটা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মঠের দরজা খোলা থাকবে। কোভিডবিধি মেনে মাস্ক পরে, স্যানিটাইজার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ে মঠে ভক্ত সমাগম হয়। গুরুপূর্ণিমায় মঠে প্রবেশ করা গেলেও মহারাজদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি কেউই। তাঁরা ভিডিও বার্তায় ভক্তদের আশীর্বাদ দেন। করোনা কালে ভারচুয়াল (Virtual) অনুষ্ঠানের উপরেই জোর দেওয়া হয়েছে। তাই মঠের বৈদিক মন্ত্র এবং তোস্ত্র পাঠ, স্বামীজিদের বক্তব্য সবই শোনা যাচ্ছে অনলাইনে। প্রসঙ্গে বেলুড় মঠের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ বলেন, “ভক্তরা তো রয়েছেন। এছাড়া মঠে ৯০ বছরের ঊর্ধ্বে প্রবীণ সাধুও রয়েছেন। তাই তাঁদের সুরক্ষার কথা মাথায় রাখতেই হবে। সে কারণে খুবই গুরুত্ব দিয়ে কোভিডবিধি মানা হচ্ছে।”