জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: সরকারি অনুমতি ছাড়াই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় জৈবসারের কারখানা! যার জেরে এলাকায় প্রবল মাছির উপদ্রব। পেটের সমস্যায় ভুগছেন শতাধিক বাসিন্দা। অনেকেই ছেড়েছেন ঘর! ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে শোরগোল উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার সারাহাটি এলাকায়।
বিষয়টা ঠিক কী? স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকারি অনুমতি না নিয়েই বাগদার সারাহাটি এলাকায় জৈব সারের কারখানা খোলা হয়েছে। যার সেরে স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় প্রবলভাবে বেড়েছে মাছির উপদ্রব। আর এই মাছির জেরেই নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দারা। রান্নার মাঝে, খাওয়ার পাতে মাছির উপদ্রব। যার জেরে ঠিকমতো খেতে পারছেন না বাসিন্দারা। অধিকাংশ দিন ফেলে দিতে হচ্ছে রান্না করা খাবার। পেটের অসুখে ভুগছেন এলাকার বহু বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বৃদ্ধ থেকে শিশু সকলেই।
[আরও পড়ুন: শিলাবৃষ্টি ও ভারী তুষারপাতের দাপটে ব্যাপক ক্ষতি ফুলের কুঁড়ির, প্রশ্নের মুখে রডোডেনড্রন উৎসব]
অভিযোগ, এ বিষয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। ফলত ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। অনেকেই আবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঘর ছেড়েছেন। মাছির হাত থেকে বাঁচতে আশ্রয় নিয়েছেন আত্মীয়দের বাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, অবিলম্বে এই মাছি সমস্যার সমাধান করতে হবে। জনবসতি এলাকায় এভাবে গোবর, আবর্জনা এনে দুর্গন্ধ ছড়ানো বা মাছির উপদ্রব বৃদ্ধি মোটেই মানতে রাজি নন বাসিন্দারা।