সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক রাজ্য জানিয়ে দিচ্ছে, হাতে পর্যাপ্ত টিকা (Corona Vaccine) মজুত নেই। তাই ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের জন্য নির্ধারিত ১ মে থেকে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব নয়। এই তালিকায় শুধু বিরোধী দল শাসিত রাজ্য নয় বিজেপি শাসিত রাজ্যও রয়েছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কেরলের মতো রাজ্য ইঙ্গিত দিয়েছে শনিবার থেকে এই টিকাকরণ শুরু করা যাবে না।
বৃহস্পতিবারই বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান জানিয়ে দিয়েছেন, ১ মে থেকে ওই বয়সসীমার মানুষের জন্য টিককরণ শুরু করা সম্ভব নয়। তবে ৪৫ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য টিকাকরণ চলবে। বৃহস্পতিবার রাতে একটি ভিডিও বার্তায় এই কথা জানিয়েছেন শিবরাজ সিং।
[আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত জনপ্রিয় সাংবাদিক রোহিত সরদানা]
এই ছবি কম বেশি বাকি রাজ্য থেকেও উঠে এসেছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন যেমন বৃহস্পতিবার জানিয়ে দেন, যাঁদের দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োজন তাঁদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। ফলে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের জন্য টিকাকরণ শুরু নিয়ে কিছু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। একই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে গুজরাত, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, পাঞ্জাবের মতো রাজ্য থেকেও।
সেরাম ইনস্টিটিউট যেমন জানিয়েছে, তারা মহারাষ্ট্রকে ৩ লক্ষ ডোজ টিকা সরবরাহ করবে। সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকাকরণ শুরু করার জন্য ন্যূনতম ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ ডোজ প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৩ লক্ষ ডোজ নিয়ে টিকাকরণ শুরু করা সম্ভব নয়।
[আরও পড়ুন: পরিবর্তন নয়, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়! বলছে অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষা]
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সব প্রাপ্ত বয়স্কদের টিকাকরণের আওতায় আনার কথা বলে। বুধবার ২৮ এপ্রিল কো-উইন পোর্টাল খুলে দেওয়া হয় ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সিদের করোনার টিকার জন্য নাম নথিভুক্ত করার জন্য। বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৩৩ লক্ষ মানুষ নাম লিখিয়েছেন। সেই সংখ্যাটা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। কিন্তু রাজ্যগুলির হাতে এই টিকাকরণ কর্মসূচির জন্য পর্যাপ্ত টিকাই পৌঁছয়নি। তার উপর টিকার দাম নিয়েও নানা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চাপে পড়ে টিকা উৎপাদক কোম্পানিগুলির দাম কমালেও চাহিদার তুলানায় জোগান কতটা মিলবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।