সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোররাতে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে শহিদ হলেন দুই পুলিশকর্মী। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের রাঁচি জেলায়। জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীদের সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীরি নেতাদের ছাড়া হবে’, মেহবুবা-ফারুকদের স্বস্তি দিয়ে ঘোষণা প্রশাসনের]
ঝাড়খণ্ডের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ মুরারি লাল মীনা জানান, গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর আসে বুন্দু ও নামকুম এলাকার দশম ফলস এলাকায় কয়েকজন মাওবাদী লুকিয়ে আছে। এই খবর পাওয়ার পরেই শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদ ওই এলাকায় তল্লাশি চালাতে শুরু করে পুলিশ। এইসময়ই আচমকা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা মাওবাদীরা। পালটা উত্তর জবাব দিতে শুরু করেন পুলিশকর্মীরাও। উভয়পক্ষের গুলির লড়াই চলাকালীন জেলা পুলিশের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে যাওয়ার পরে একজন পুলিশকর্মীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত ডাক্তাররা। পরে সেখানে ভরতি থাকাকালীন মৃত্যু হয় আরও একজনের।
[আরও পড়ুন:‘অপমানিত হওয়ার নিত্যনতুন রাস্তা আবিষ্কার করছেন ইমরান’, কটাক্ষ বীরেন্দ্র শেহবাগের]
রাঁচির জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের গুলিতেও কয়েকজন মাওবাদী খতম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও মৃতদেহ উদ্ধার করা যায়নি। তাদের দেহগুলি অন্য মাওবাদীরা লুকিয়ে ফেলেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এখনও তল্লাশি চলছে। দশম ফলস সংলগ্ন জঙ্গলেই তারা লুকিয়ে আছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও মাওবাদীকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
খবর পাওয়ার পরে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস। তিনি বলেন, ‘আজ এনকাউন্টারে দুই জাগুয়ার জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের এই বলিদানকে আমি স্যালুট জানাই। ঝাড়খণ্ডে মাওবাদ এখন শেষ নিশ্বাস নিচ্ছে।তবে ওদের পুরোপুরি খতম না করা পর্যন্ত আমরা বিশ্রাম নেব না।’