সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবু কোথাও কোথাও বাড়তে থাকা সংক্রমণ দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। দিল্লিতে এরই মধ্যে সংক্রমণের হার নতুন করে বাড়তে শুরু করেছে। তালিকায় রয়েছে গুজরাটের (Gujarat) বৃহত্তম শহর আহমেদাবাদের (Ahmedabad) নামও। করোনা সংক্রমণ রুখতে এবার তাই সেখানে ৫৭ ঘণ্টার ‘সম্পূর্ণ কারফিউে’র ডাক দিল প্রশাসন। শুক্রবার রাত ন’টা থেকে শুরু হচ্ছে সেই কারফিউ (Curfew)। চলবে সোমবার ভোর ছ’টা পর্যন্ত।
করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খলকে ভাঙতে বৃহস্পতিবার অনেক রাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (বন ও পরিবেশ) রাজীবকুমার গুপ্তা টুইটারে ওই কারফিউয়ের বিষয়ে ঘোষণা করেন। জানিয়ে দেন, কেবল দুধ আর ওষুধের দোকান ছাড়া আর সব কিছু বন্ধ থাকবে ওই সময়কালে। তবে সোমবার ভোরে কারফিউ উঠে গেলেও তারপর থেকে জারি থাকবে নাইট কারফিউ। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রাত ন’টা থেকে ভোর ছ’টা পর্যন্ত রোজই চলবে কারফিউ।
[আরও পড়ুন: বেনজির, করোনা টিকার ট্রায়ালের জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে এগিয়ে এলেন হরিয়ানার মন্ত্রী]
নভেম্বরের গোড়া থেকেই করোনার প্রকোপ বেড়েছে আহমেদাবাদে। গুজরাটের স্বাস্থ্য দপ্তরের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ২৩০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এখানে। শহরে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ২,৮৪৫। প্রশাসন তাই করোনা রুখতে কড়া পদক্ষেপের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে। রাজীবকুমার গুপ্তা জানাচ্ছেন, যেভাবে উৎসবের মরশুমে দোকান, বাজার ও অন্যত্র বিপুল সংখ্যায় মানুষকে ভিড় জমাতে দেখা যাচ্ছে তা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণকে রুখতেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে প্রশাসনকে। পাশাপাশি হাসপাতালে বাড়ানো হচ্ছে কোভিড বেডের সংখ্যাও। রাতারাতি বাড়ানো হয়েছে ১,৩০০ বেড। ফলে শহরে মোট কোভিড বেডের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,৮০০।
এদিকে আর তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই সম্ভবত করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে বৃহস্পতিবার দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন (Harsh Vardhan)। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০২১ সালটা সকলের জন্য শুভ হবে।