সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া (Russia) সময় বেঁধে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে গতকাল। এহেন পরিস্থিতিতে পিছু না হটে আপ্রাণ লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনা। এখনও মারিওপোলের দখল নিতে পারেনি রুশ বাহিনী। এছাড়াও ইউক্রেনের লিভিভ শহরে পাঁচ বার মিসাইল হানা করেছে রাশিয়া, জানিয়েছেন লিভিভের মেয়র। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনে আসুন।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একটি স্টিল প্ল্যান্টে লুকিয়ে থেকে লড়াই চালাচ্ছে প্রায় আড়াই হাজার ইউক্রেনীয় সেনা। এছাড়াও তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন প্রায় ৪০০ ন্যাটো সেনা। রাশিয়ার তরফে দাবি করা হয়েছে, মারিওপোল দখল করা প্রায় শেষ। কেবল মাত্র একটি স্টিল প্ল্যান্টে লুকিয়ে থাকা সেনাকে হারাতে পারলেই মারিওপোলের পতন হবে। প্রসঙ্গত, মারিওপোলের রাস্তায় কম্বল জড়িয়ে রাখা মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। আত্মসমর্পণের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেই রুশ সেনা আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলেনস্কি। নানা দেশ থেকে ত্রাণ হিসাবে খাদ্যসামগ্রী পাঠানো হয়েছিল ইউক্রেনে। সেগুলি রুশ সেনা লুট করছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি।
[আরও পড়ুন: ইস্টারের সপ্তাহে তিন বার বন্দুকবাজদের হামলা, বড়সড় প্রশ্নের মুখে আমেরিকার নিরাপত্তা]
ইউক্রেনের (Ukraine) বিভিন্ন প্রান্তে রাশিয়া নিজেদের মুদ্রা ‘রুবল’ চালু করেছে বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যেই জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করেছেন, তিনি যেন ইউক্রেনে এসে পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন। জেলেনস্কি বলেন, “আমি মনে করি বাইডেন আসবেন।” মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, এই ধরনের পরিকল্পনা নেই তাদের। যদিও আধিকারিকদের ইউক্রেনে পাঠাতে পারে আমেরিকা। প্রসঙ্গত, এর আগে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেনে গিয়েছিলেন।
দু’মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia Ukraine War)। স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদের কিডন্যাপ করে সেখানে পুতুল সরকার বসানোর অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। খারকভে গত চারদিনে প্রায় ১০০ জন মারা গিয়েছেন রুশ হামলায়। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মারিওপোল শহরটি। রাশিয়াকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, “মারিওপোলে থাকা সেনাদের মৃত্যু হলে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে।” সমগ্র ইউক্রেনের দখল নিতে না পারায় রাশিয়া মরিয়া হয়ে উঠেছে কূটনৈতিক ভাবে গুরুত্বপূর্ণ মারিওপোল জয় করার জন্য। কী হবে মারিওপোলের ভবিষ্যৎ, সেদিকেই তাকিয়ে ইউক্রেন।