সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফেল কড়ি মাখো তেল। টাকা দিলেই বাড়বে মার্কশিটের নম্বর। ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় ভুয়ো মার্কশিট তৈরির এমনই এক চক্রের সন্ধান মিলল খোদ গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। নিট-ইউজির মতো সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতর থেকে ভুয়ো মার্কশিট তৈরির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে অসমে। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অস্বস্তিতে পড়ে মুখ খুলেছেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা।
সম্প্রতি উত্তরপূর্বের রাজ্যের গণেশ লাল চৌধুরী কলেজের এক ছাত্রের মার্কশিটে অসঙ্গতির নজরে আসে। তদন্তের নেমে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছিল না পুলিশ। গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত এই কলেজ। আজিজুল হক নামের ছাত্রের এক মার্কশিটে অসঙ্গতি নিয়ে পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। পরীক্ষার খাতায় আজিজুলের প্রাপ্ত নম্বর আর মার্কশিটের নম্বর মিলছিল না। জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রটি স্বীকার করেছে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রথম, তৃতীয়, চতুর্থ এবং পঞ্চম সেমিস্টারে মার্কশিটের নম্বর বাড়িয়ে ছিল সে। জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগ থেকেই যাবতীয় দুর্নীতি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: ‘চিন্তার কিছু নেই’, শূন্যে বন্দি সুনীতাকে নিয়ে বড় বার্তা ISRO প্রধানের]
নিট-ইউজি প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের মধ্যে মার্কশিট কেলেঙ্কারির ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে অসমের বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগ থেকে জাল মার্কশিট তৈরি হয়েছে। টাকা নিয়ে নম্বর বাড়ানোর কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। হিমন্তের দাবি, বারপেটার ছটি জাল মার্কিশিটের ঘটনা সামনে এসেছে। মূলচক্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সাত দিন ধরে তদন্ত প্রক্রিয়ায় আমি ব্যক্তিগত ভাবে নজর রাখছি। হিন্ত একথা বললেও কততোপ দাগছে বিরোধীরা।