সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মহাকাশের লাল লণ্ঠন’ মঙ্গল গ্রহকে (Mars) ঘিরে রহস্যের যেন শেষ নেই। এতদিন জানা ছিল, কোটি কোটি বছর আগে লাল গ্রহে জল (Water) থাকলেও পরে তা অন্তর্হিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু কোথায় উবে গিয়েছিল সেই জল? অবশেষে মিলল এই প্রশ্নের উত্তর। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৩০ থেকে ৯৯ শতাংশ জল এখনও মঙ্গলেই রয়েছে! তবে তা রয়েছে মঙ্গল-পৃষ্ঠের নিচে। তিনশো কোটি বছর আগে সেই জল মাটির গভীরে চলে যায়।
সম্প্রতি ‘জার্নাল সায়েন্স’-এ প্রকাশিত এক গবেষণাপত্রে এমনই দাবি করা হয়েছে। নাসার উদ্যোগে ওই গবেষণা করা হয়েছে। গবেষণাপত্রটির প্রধান লেখক ইভা স্কেলার জানিয়েছেন, ”মঙ্গলের হারানো জল আমরা খুঁজে পেয়েছি তার পৃষ্ঠের গভীরে। তিনশো কোটি বছর আগে ওই জল বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। সেই থেকে মঙ্গল এক শুষ্ক গ্রহ।” কতটা জল রয়েছে মঙ্গলে? তরল অবস্থায় ও মাটির নিচে ধাতুর সঙ্গে মিশে থাকা অবস্থায় মোট জলের পরিমাণ আটলান্টিক মহাসাগরের জলের অর্ধেক।
[আরও পড়ুন: বাতাসে বিষ! বিশ্বের তিরিশটি সবথেকে বেশি দূষিত শহরের মধ্যে ২২টি ভারতেরই]
মঙ্গলে গবেষণার ক্ষেত্রে এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য বলে মনে করা হচ্ছে। এতদিন পর্যন্ত ধারণা ছিল, মঙ্গলে জল থাকলেও তা দীর্ঘ সময় আগেই উবে গিয়েছিল। এতদিনের সেই ধারণাই এবার ভেঙে গেল। কিন্তু কীভাবে জানা গেল এমন তথ্য? আসলে কতটা পরিমাণ জল মাটিতে মিশেছে এবং কতটা মহাকাশে মিলিয়ে গিয়েছে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে জানিয়েছেন ইভা। তাঁর কথায়, ”মোট তিনটি পদ্ধতি রয়েছে।
অগ্ন্যুৎপাতের সময় পাওয়া জলীয় উপাদান, মহাকাশে মিলিয়ে যাওয়া জল ও মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া জল। এই মডেল অনুসরণ করে এবং আমাদের কাছে থাকা হাইড্রোজেন আইসোটোপ ডেটা সেটের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে কতটা জল হারিয়ে গিয়েছে ও কতটা জল মাটিতে মিশেছে তা হিসেব করে বের করে ফেরা সম্ভব।”
কিন্তু এই জলের কি কোনও ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটানো যাবে। তেমন আশা অবশ্য দেখছেন না বিজ্ঞানীরা। তাঁদের মতে, মহাকাশচারীরা মঙ্গলের মাটিতে নামলে সেখানকার ধাতুর সঙ্গে মিশে থাকা জলকে নিষ্কাশন করে তাকে কাজে লাগাবে, এমন সম্ভাবনা কম।