সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যানসার মুক্ত মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা (Martina Navratilova)। পিয়ার্স মরগ্যানের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এ কথা জানিয়েছেন বাঁ হাতি টেনিস কিংবদন্তি। তাঁর গলা এবং বুকে বাসা বেঁধেছিল ক্যানসার। তিনি বলছেন, ”আমি যতদূর জানি আমি ক্যানসার মুক্ত।”
নাভ্রাতিলোভা স্বীকার করে নিয়েছেন, যখন তাঁর চিকিৎসা চলছিল সেই সময়ে দত্তক সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রাখেন। ক্যানসারে আক্রান্ত তিনি, তা জানার পরে ভীত হয়ে পড়েন নাভ্রাতিলোভা। তিনি বলছেন, ”তিনদিন ধরে আমি ভয়ানক আতঙ্কে ছিলাম। মনে হয়েছিল পরবর্তী ক্রিসমাস হয়তো দেখতে পাবো না।”
[আরও পড়ুন: ‘বোলিং বিভাগের জন্যই বিশ্বকাপ জেতার অন্যতম দাবিদার পাকিস্তান’, বলছেন আক্রম]
চেক প্রজাতন্ত্রে জন্ম হয় নাভ্রাতিলোভার। ১৯৮১ সালে মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন তিনি। এর আগেও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন নাভ্রাতিলোভা। তবে তা অবশ্য বছর তেরো আগের ঘটনা। সেই সময়ে বুকে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল নাভ্রাতিলোভার। তখন অবশ্য ক্যানসারকে হারান তিনি।
আর এবার গত বছরের নভেম্বর মাসে ডব্লিউটিএ ফাইনালের সময়ে ধরা পড়ে ক্যানসার থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরের। তাঁর ঘাড় ফুলে গিয়েছিল। নাভ্রাতিলোভা বলছেন, ”আমি লক্ষ্য করেছিলাম বাঁ দিকের লিম্ফ নোড ফুলে গিয়েছিল। আমার মনে হয়েছিল এক সপ্তাহ আগে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যই এভাবে ফুলে গিয়েছে। কিন্তু দু’ সপ্তাহের বেশি সময় হয়ে গেলেও ওই ফোলা কমছিল না। তখন আমি ডাক্তারের কাছে যাই।”
নাভ্রাতিলোভা নিজের অসুস্থতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। কিংবদন্তি টেনিস খেলোয়াড় বলেন, ”জীবন খুব কঠিন ছিল। প্রথম সপ্তাহে কেমো এবং র্যাডিয়েশন একসঙ্গে দিতে হয়েছিল। সর্বাঙ্গ ফুলে গিয়েছিল। অস্বস্তি বাড়ছিল। প্রোটনের জন্য ঠিকঠাক স্বাদও পাচ্ছিলাম না।” তবে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করে এখন নাভ্রাতিলোভা সুস্থ। ক্যানসার মুক্ত তিনি।