সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ফের মিলল গণকবর। বুচার পর এবার প্রকাশ্যে এল ইজিয়ুম শহরের ভয়াবহ ছবি। খারকোভ ওব্লাস্ট (প্রদেশের) ইজিয়ুম শহরে মেলা ওই গণকবর থেকে বৃহস্পতিবার ৪৪০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে রুশ ফৌজের হাত থেকে ইজিয়ুম শহর পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, প্রায় গোটা খারকভ প্রদেশই ফের দখল করে নিয়েছে তারা। খারকোভ শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার পূর্বে রুশ সীমান্তবর্তী শহর বারলুক হাতছাড়া হওয়া পুতিন বাহিনীর কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে। কিয়েভের দাবি, প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পালিয়েছে হাজার হাজার রুশ সেনা।
এদিকে, যুদ্ধবিধ্বস্ত শহরটি থেকে ক্রমে প্রকাশ্যে আসছে ভয়াবহ ছবি। বৃহস্পতিবার সেখানে ৪৪০টি দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, নিহতরা সকলেই সাধারণ মানুষ। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক ছিলও না। এক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “সব জায়গায় মৃত্যুর ছাপ রেখে যাচ্ছে রাশিয়া। এর জন্য তাদের জবাবদিহি করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: মারিওপোলে হাজার হাজার লাশ লুকোচ্ছে রাশিয়া, বিস্ফোরক জেলেনস্কি]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বেশ কয়েকমাস পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনে (Ukraine) সেনা অভিযানের দায়িত্ব ছিল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সেনা আধিকারিক আলেকজান্ডার দর্নিকভের হাতে। সেনা অভিযানে অত্যন্ত নির্মম পদ্ধতি ব্যবহার ও বর্বর আচরণের জন্য তিনি ‘সিরিয়ার কসাই’ নামে পরিচিত। অতীতেও এই এই রুশ জেনারেলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেকেই মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দু’পক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়েই ওই আসমামরিক নাগরিকদের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে বুচা শহরে রুশ ফৌজের অত্যাচারের ভয়াবহতা দেখে কেঁপে ওঠে বিশ্ব। শহরটিতে পাওয়া যায় একের পর এক গণকবর। ৩০০-রও বেশি নাগরিকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। মৃত মহিলাদের শরীরে পোড়া স্বস্তিক চিহ্নের দাগ এমনকি ১০ বছরের বালিকার গোপনাঙ্গে আঘাত এবং অত্যাচারের চিহ্ণও পাওয়া যায়। যা দেখে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্বে। রাশিয়ার (Russia) প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী বলে তোপ দাগেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুধু তাই নয়, অনেকটা নুরেমবার্গের কায়দায় পুতিনের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।