সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই ইন্টারনেট পরিষেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল ইউরোপের (Europe) বিস্তীর্ণ এলাকা। যুদ্ধের আবহে শনিবার জার্মানি, ফ্রান্স, ইটালি, পোল্যান্ডের একাধিক দেশে বেশ কিছুক্ষণের জন্য স্তব্ধ হয়ে যায় ইন্টারনেট পরিষেবা। কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিস্তীর্ণ এই এলাকা। আর এই ঘটনাকে বড়সড় সাইবার অ্যাটাক বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। যার পিছনে রয়েছে রুশ হ্যাকাররা। যদিও এ বিষয়ে রাশিয়ার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এই সাইবার হানায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউক্রেন। তবে শুধু ইউক্রেন নয়, ক্ষতির মুখে পড়েছে ইউরোপের একাধিক দেশ। জানা গিয়েছে, সাইবার হানায় স্তব্ধ হয়ে যায় দেশগুলির একাধিক পরিষেবা। জানা গিয়েছে, থমকে গিয়েছিল সরকারি কাজকর্ম। শুধু তাই নয়, জার্মানির প্রায় ৬ হাজার টারবাইন কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। এই টারবাইনগুলি বায়ুশক্তিকে ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রায় ১১ হাজার গিগাবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। যা মধ্য ইউরোপের একাধিক দেশ ব্যবহৃত হয়। জানা গিয়েছে, এদিন ফ্রান্সের প্রায় ৯ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ক্ষতির মুখে পড়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘প্রদেশ কংগ্রেসকে গুরুত্ব দেয় না হাইকমান্ড’, সোনিয়ার দূতের কাছে নালিশ অধীরদের]
সাইবার হামলার দায় রাশিয়ার উপর চাপিয়েছে ইউরোপের দেশগুলি। তাদের দাবি, রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব পড়ছে গোটা ইউরোপে। এদিন ইউরোপজুড়ে সাইবার হামলা চালাল মস্কো। যদিও এ বিষয়ে রাশিয়ার তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে যুদ্ধের আবহে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ভুয়ো খবর। যাতে আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আর এই অভ্যেসকে শক্ত হাতে রুখে দিতে এবার নয়া আইন পাশ করল রাশিয়া। জানিয়ে দেওয়া হল, রুশ সেনা নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানোর চেষ্টা হলে ১৫ বছর পর্যন্ত জেল হেফাজত হতে পারে। অপরাধ কতখানি গুরুতর, তা বিবেচনা করে সাজা শোনানো হবে। এক্ষেত্রে ১৫ বছর পর্যন্ত জেল অথবা জরিমানা করা হবে।