কৃষ্ণকুমার দাস: পার্ক স্ট্রিটের (Park Street) বহুতলে ফের অগ্নিকাণ্ড। ১১৩, পার্ক স্ট্রিটের চারতলায় দুপুরে আচমকাই দাউদাউ আগুন (Fire) জ্বলে ওঠে। সূত্রের খবর, বহুতলে এই সময়ে বেশ কয়েকজন কাজ করছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের ভিতর থেকে বাইরে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন। দমকলকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেন। আগুন আয়ত্বে আনার চেষ্টা করলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আশেপাশের বিল্ডিংয়েও তা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন। ঘটনাস্থলে ছুটে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।
দমকল সূত্রে খবর, পার্ক স্ট্রিটে পরিচিত এপিজে স্কুলের পাশে একটি বহুতলে শাড়ির গুদামে আগুন লেগেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়েছে আগুনের লেলিহান শিখা। প্রথমে দমকলের ৯টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। তারপর আরও একটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। হাইড্রলিক ল্যাডার ব্য়বহার করে উপরের তলার আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন কর্মীরা। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, এই সময় রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি অফিস বন্ধ। তাই ওই বহুতল অফিস বিল্ডিং হওয়া সত্ত্বেও বেশি সংখ্যায় মানুষজন ছিলেন না। যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সবাইকে নিরাপদে বাইরে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। কোথা থেকে আগুন লাগল, তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। বহুতলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল কি না, সে বিষয়েও জানা যায়নি কিছু।সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পরই শুরু হবে তদন্ত।
[আরও পড়ুন: ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের ওষুধ দিচ্ছে না, চিকিৎসা হবে কী করে?’, কেন্দ্রকে তোপ মমতার]
ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় আগুনে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে কিছু বাধার মুখে পড়তে হয়েছে দমকল কর্মীদের। তবে নিজেদের জীবন বাজি রেখে তাঁরা কাজ করে চলেছেন বলেই দাবি দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে গোটা কাজের তদারকি করছেন। তিনি গত ৫ বছর ধরে রাজ্য সরকারের দমকল মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। নতুন সরকারেও একই দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। আর সেই দায়িত্ব যে তিনি বেশ ভালভাবেই পালন করছেন এখনও, এদিন সুজিত বসুর তৎপরতাই তার প্রমাণ।পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আয়ত্ত্বে আসা পর্যন্ত তিনি ঘটনাস্থলে থাকবেন। খতিয়ে দেখবেন যাবতীয় ক্ষয়ক্ষতি।