সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক ঘটনায় জর্জরিত গোটা দেশ। করোনা আবহেই এবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রাজধানী দিল্লিতে ছড়াল তীব্র আতঙ্ক। একটা নয়, দিল্লির দুই জায়গায় পরপর আগুন লাগে। প্রথমে দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির তুঘলাকাবাদ এলাকার বসতিতের ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। আর তারপরই কেশবপুরম এলাকার একটি জুতোর কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সামনে আসে।
একেতে করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের জেরে নাজেহাল গোটা দেশ। তারই মধ্যে আবার গরম হাওয়া বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রাজধানীতে। এবার দোসর হল অগ্নিকাণ্ড। সোমবার রাতে ওই বসতিতে আগুন লেগেছে বুঝতে পেরেই স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। সে সময় বেশিরভাগ লোকই গভীর ঘুমে ছিলেন। আগুন লেগেছে বুঝেই হুড়মুড়িয়ে উঠে ঘর ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। এরপর দমকলবাহিনীর কাছে পৌঁছায় রাত ১টা নাগাদ। ঘটনাস্থলে প্রথমে ২০টি ইঞ্জিন গিয়ে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। শেষমেশ ৩০টি ইঞ্জিন দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় সেই ভয়ংকর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল হয়েছে বলে জানান দক্ষিণ দিল্লি জোনের দমকলের ডেপুটি প্রধান এসএস তুলি। তিনি বলেন, “আপাতত আগুন নিয়ন্ত্রণে। যদিও ঠিক কীভাবে আগুন লাগল, সে এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই।”
[আরও পড়ুন: ‘আমার জন্য বিশেষ ছাড় আছে’, কোয়ারেন্টাইনে না গিয়ে আজব যুক্তি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর]
বসতিবাসীরা প্রাণে বেঁচে গেলেও আগুনে বিস্তর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে প্রায় দেড় হাজার ঝুপড়ি। ফলে বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার সকালে ফের আগুন লাগার ঘটনায় ছড়ায় চাঞ্চল্য। কেশবপুরম এলাকায় দাউদাউ করে জ্বলতে শুরু করে একটি জুতোর কারখানা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২৩টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কীভাবে কারখানায় আগুন লাগল, তা এখনও পরিষ্কার নয়। সেখানে পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও কোনও কেউ হতাহত হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: সম্পর্কের টানাপোড়েনে একসঙ্গে ৯ জনকে খুন! তেলেঙ্গানায় পরিযায়ী শ্রমিক হত্যারহস্যের কিনারা]
The post জোড়া অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত দিল্লি, বসতির ১৫০০ ঘর পুড়ে ছাই, দাউদাউ করে জ্বলছে জুতোর কারখানাও appeared first on Sangbad Pratidin.