অর্ণব আইচ: সাতসকালে খাস কলকাতায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড। দক্ষিণ কলকাতার কুঁদঘাট এলাকার বাবুরাম ঘোষ রোডে প্রযোজনা সংস্থার একটি গোডাউনে আগুন লাগে। সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় গোডাউনটি। আগুনের তাপে দাহ্য পদার্থে ঠাসা গোডাউনের দেওয়ালে ফাটল ধরেছে বলে সূত্রের খবর। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটা নাগাদ আগুনের লাগে বলে খবর। এলাকার বাসিন্দারা আগুন দেখতে পেয়ে দমকলে খবর দেন। ততক্ষনে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় এলাকা। প্রাথমিকভাবে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভাতে শুরু করে। দাহ্য পদার্থ ঠাসা ওই গোডাউনের কাছে রয়েছে একটি আবাসন। আতঙ্কে আবাসন থেকে বাসিন্দারা রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। তবে বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় ইতিমধ্যে আশপাশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘ভাঁওতাবাজির চেয়ে ভাঁড়ামো অনেক ভাল’, বৈশাখীর নিশানায় শুভেন্দু, শোভনকে ‘ভাঁড়’ কটাক্ষের পালটা]
গোডাউনের পাশে একটি বসতি রয়েছে। ওই বসতির বাসিন্দারাও আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে এসে নিজেরাই জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। আবাসন থেকে জল নিয়েও আগুন নেভানোর চেষ্টা হয়। আপাতত আগুন যাতে ওই আবাসন ও আশপাশের বসতি বা কোথাও ছড়িয়ে না পড়ে, সেই চেষ্টাই করছেন দমকল কর্মী ও আধিকারিকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৫টি দমকলের ইঞ্জিন গিয়েছে ঘটনাস্থলে। এখনও পকেট ফায়ার রয়েছে বলে দমকল সূত্রের খবর।
ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি এলাকার বাসিন্দাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। মন্ত্রী জানান, স্থানীয় মানুষ আমাকে ফোন করেন। খবর পেয়ে আসি। স্থানীয়রা ঝাঁপিয়ে পড়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। দমকলও আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এখনও কিছুটা এলাকায় আগুন রয়েছে।” তিনি আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে এক দমকল কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে আগুন লাগল। মনে করা হচ্ছে, শর্ট সার্কিটের ফলেই আগুনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত চলছে হলে জানিয়েছে দমকল। গোডাউনটি একটি প্রযোজনা সংস্থার বলে জানা গিয়েছে। ফলে সেখানে শুটিংয়ের বিভিন্ন সামগ্রী যেমন ফিল্ম, রিল, ক্যামেরা, ট্রাইপড ঠাসা রয়েছে বলে খবর। এদিনের অগ্নিকাণ্ডের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।