অর্ণব আইচ: পার্ক স্ট্রিটের পর কসবা। চারদিনের মাথায় ফের শহর কলকাতায় অগ্নিকাণ্ড। কসবায় অ্যাক্রোপলিস মলে বিধ্বংসী আগুন(Acropolis Mall Fire)। শপিং মলের চারতলায় থাকা বুক স্টোর থেকে ফুড কোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ধোঁয়া দেখে ক্রেতাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ।
অ্যাক্রোপলিস মলের চারতলায় রয়েছে ফুড কোর্ট এবং বইয়ের দোকান। রয়েছে একাধিক অফিস। শপিং মলের চারতলায় থাকা বুক স্টোর থেকে ফুড কোর্টে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আচমকাই চারতলা থেকে কালো ধোঁয়া বেরতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে গলগল করে বেরনো কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় মলের ভিতর। আতঙ্কে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় শপিং মল। ক্রেতা এবং কর্মীরা কোনওক্রমে বাইরে বেরিয়ে আসে। অ্যাক্রোপলিস মলের পাশে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম। সেখানে কর্মীদের আশ্রয়ের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এমার্জেন্সি গেট দিয়ে বেরতে গিয়ে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: ‘আর কথা বলব না’, হঠাৎ মুখে কুলুপ ‘বিদ্রোহী’ দিলীপের, তুঙ্গে রাজ্য সভাপতি পদের জল্পনা]
দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানান, ইতিমধ্যে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে অক্সিজেন মাস্ক পরে শপিং মলের ভিতরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে আগুন নেভানোর কাজ। ভেন্টিলেশন চালু রাখতে মলের কাচ ভেঙে আপাতত শপিং মল থেকে ধোঁয়া বার করার কাজ শুরু হয়। গার্ডরেল দিয়ে শপিং মল ঘিরে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে গোটা শপিং মল। কী কারণে আগুন লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শপিং মলের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা আদৌ ঠিকঠাক আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।