রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বড়দিনে ঠাসাঠাসি ভিড় ছিল। ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝেই বছরের শেষে একই ছবি দিঘায়। প্রায় সব হোটেলই বুকড। তবে এই ভিড় থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় সেই দিকেই নজর জেলা প্রশাসনের।
চলতি বছরের শেষ দিন, শুক্রবার দিঘায় পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ছে। দিঘার পাশাপাশি শংকরপুর, মন্দারমণি বা তাজপুরের মতো সৈকতও ভরে উঠেছে। দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যশের পর যেভাবে সেজে উঠেছে দিঘা, তা বহু পর্যটকেরই নজর কাড়ছে। বর্ষশেষে এবং নতুন বছরের শুরুতেই এখানকার সব হোটেল ভরতি।” বিপ্রদাসের দাবি, “বড়দিনে ভরে উঠেছিল দিঘা। সে দিন ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ এখানে এসেছিলেন। এ বার বছর শেষের দিনটি শুক্রবার হওয়ায় কাজ সেরে নিশ্চিন্তে তিনটে দিন ছুটি কাটাতে পারবেন অনেকে।”
[আরও পড়ুন: সূচি বদলের প্রতিবাদে রানাঘাটে রেল অবরোধ যাত্রীদের, ব্যাহত শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচল]
কিন্তু ওমিক্রন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ানোয় দিঘায় আসা পর্যটকদের সতর্ক করেছে জেলা প্রশাসন। পর্যটকরা যাতে মাস্ক ব্যবহার করেন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে আনন্দ করেন সেই বার্তা দেওয়া হয়েছে। প্রতিবারই এই সময় দল বেঁধে দিঘায় বেড়াতে আসেন ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা তাপস রায়, ইকবাল আহমেদ ও মিলন সরকাররা। তাঁরা বলেন, “সমুদ্রের আকর্ষণে দল বেঁধে আমরা প্রতিবছর দিঘায় বেড়াতে আসি। আগে দিঘার হোটেল-লজগুলিতে পর্যটকদের থেকে ইচ্ছামতো ঘরভাড়া নেওয়া হত। এ বার সেটা কমেছে দেখে ভাল লাগল।”
বছর শেষে আলোকমালায় সেজে উঠেছে দিঘার হোটেলগুলিও। রয়েছে বর্ষবরণ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও। দুর্গাপুরের বেনাচিতির তরুণ লাহিড়ী বা বারাসত নবপল্লির সোমনাথ দাসের কথায়, “বছরের শেষদিনে পুরনো বিষয় নিয়ে কোনও কথা নয়। নতুন দিঘায় নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আমরা প্রস্তুত এটুকুই বলতে পারি।”