সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক সংকটে জেরবার পাকিস্তান। এমন অবস্থায় পেট্রল ও ডিজেলে ব্যাপক মূল্যবৃদ্ধি করল পাক সরকার। রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি কমানোর জন্যই শাহবাজ প্রশাসনের এই পদক্ষেপ। এক ধাক্কায় প্রায় ২৯ শতাংশ বাড়ল পেট্রোপণ্যের দাম। প্রতি লিটারে ২০ টাকা বেড়েছে পেট্রলের (Petrol) দাম। প্রসঙ্গত, গত কুড়ি দিনে এই নিয়ে তিনবার পেট্রলের দাম বাড়ল পাকিস্তানে। বুধবার রাত থেকেই বর্ধিত দাম কার্যকর করা হয়েছে।
দাম বেড়েছে ডিজেলেরও। প্রতি লিটারে প্রায় ষাট টাকা বেড়েছে ডিজেলের দাম (Pakistan Petrol Price Hike)। দেশের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বুধবার পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ার কথা ঘোষণা করেন। গত ২৫ মে শেষবার দাম বেড়েছিল পেট্রলের। সেই সময়েও ষাট টাকা করে দাম বেড়েছিল পেট্রল-ডিজেলের। বর্তমানে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ২৩৩ টাকা। ডিজেলের (Diesel) দাম আড়াইশো টাকা পেরিয়ে গিয়েছে। মহার্ঘ কেরোসিন তেলও।
[আরও পড়ুন: পেন্টাগনের গুরুত্বপূর্ণ পদে রাধা আয়েঙ্গার, বাইডেন প্রশাসনে ফের জয়জয়কার ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের]
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছেন, দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে আর কোনও রাস্তা ছিল না। আইএমএফের কাছ থেকে প্রচুর ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান। পাক (Pakistan) প্রধানমন্ত্রীর মতে, পেট্রোপণ্যের দাম না বাড়ালে ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়। তবে এর ফলে বিপাকে পড়বেন মধ্যবিত্তরা, সেই কথাও মেনে নেন শাহবাজ (Shehbaz Sharif)। প্রসঙ্গত, আইএমএফের তরফে বলা হয়েছিল, সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য পেট্রোপণ্যের দামে ভরতুকি দিতে হবে। কিন্তু বুধবারের ঘোষণার পরে আর ভরতুকি থাকবে না।
পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ক্রমশ কমছে। ইতিমধ্যেই চা খাওয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পাক প্রশাসন। ১২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে লোডশেডিং চলছে সেদেশে। বিদ্যুতের ব্যবহার কমাতে অফিসে ছুটি বাড়াতে চাইছে পাক প্রশাসন। তাছাড়াও তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে দেওয়া, বেশি রাত করে বিয়ের অনুষ্ঠান না করা-সহ নানা ফতোয়া জারি করা হয়েছে আমজনতার উদ্দেশ্যে। সব মিলিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে থাকা পাক প্রশাসন এই পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার পাওয়ার চেষ্টা চালালেও কাজটা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে, মত ওয়াকিবহাল মহলের।