সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের অধিবেশনে গিলগিট ও বাল্টিস্তান-সহ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের দুরবস্থা নিয়ে সরব হয়েছিলেন সেখানকার মানবাধিকার কর্মীরা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষ স্বাধীনতা পেতে মরিয়া বলে রাষ্ট্রসংঘে দাঁড়িয়ে জোর গলায় পাকিস্তানের সমালোচনা করেছিলেন সমাজকর্মী আমজাদ আয়ুব মির্জা। গত চারদিন ধরে গিলগিট ও বাল্টিস্তানের মানুষদের লাগাতার বিক্ষোভ তাঁর সেই দাবিকে মান্যতা দিচ্ছে।
দীর্ঘ কয়েকমাস ধরেই পাকিস্তানের ক্ষমতায় আসীন ইমরান খানের সরকার ও সেদেশের সেনাবাহিনীর (Pakistan Army) অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল গিলগিট ও বাল্টিস্তান (Gilgit-Baltistan) -এর মানুষের মনে। চারদিনে আগে তাতে যেন ঘৃতাহুতি পড়ল। স্থানীয় বাসিন্দাদের স্বার্থরক্ষায় মুখ খোলার জন্য যে সমস্ত মানুষকে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁদের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠল গিলগিট ও বাল্টিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা।
[আরও পড়ুন: খিদের জ্বালার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের স্বীকৃতি, নোবেল শান্তি পুরস্কার পেল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি]
শুক্রবারও সেখানকার বহু জায়গায় রাস্তায় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল আট থেকে আশি। পুরুষদের পাশাপাশি ওই কর্মসূচিতে মহিলাদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া হাজার হাজার মানুষকে স্লোগান দিতে দেখা গেল, ‘এই যে এত অত্যাচার করা হচ্ছে, এর পিছনে ইউনিফর্ম রয়েছে (Ye jo dehshatgardi hain, uske peechhe vardi hain)।’
আন্দোলনের তীব্রতা দেখে পরিস্থিতি ইমরান খানের সরকারের জন্য খুব জটিল হচ্ছে বলে উল্লেখ করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার বলছেন, জম্মু ও কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে বলে মাঝে মধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের নামে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করে পাকিস্তান। কিন্তু, তারা নিজেরাই বারুদের স্তূপের উপর বসে রয়েছে। যেকোনও দিন জনরোষের বিস্ফোরণ হতে পারে।