সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গ্লোবাল জেহাদি’ হাফিজ সইদকে (Hafiz Saeed) হত্যা করতেই বোমা হামলা করা হয়েছিল! বিস্ফোরণের সময় নিজের বাড়িতেই ছিল ওই জঙ্গিনেতা। পরে তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। আর এই ঘটনার পরই হামলাকারীদের সন্ধানে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আফগানিস্তান থেকে সেনা সরলেই ৬ মাসে কাবুল দখল করবে তালিবান, হুঁশিয়ারি মার্কিন গোয়েন্দাদের]
সূত্রের খবর, মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদের লাহোরের বাড়ির সামনে বিস্ফোরণের ঘটনায় ‘বিদেশি শক্তি’র হাত রয়েছে বলে মনে করছে পাক গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, হামলায় জড়িতদের পাকড়াও করতে পাঞ্জাব প্রদেশে বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালিয়েছে পাক তদন্তকারী সংস্থাগুলি। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজনকে। ধৃতদের পরিচয় জানায়নি পাক পুলিশ। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘Geo TV’ জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়েছে পাঞ্জাব পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা। হামলায় কোন ধরনের বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে তা জানতে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে ফরেনসিক দল। এদিকে, এই হামলার নিন্দা করে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পাকিস্তানের বিরোধী নেতা তথা পাকিস্তান পিপলস পার্টি’র অন্যতম মুখ বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। আফগানিস্তানে ইসলামাবাদের ভুল নীতির জন্যই দেশে সন্ত্রাসবাদী হামলা বাড়ছে বলে তাঁর অভিযোগ।
উল্লেখ্য, গতকাল অর্থাৎ বুধবার লহোরে হাফিজের বাড়িরই সামনে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন পথচারী। এই প্রথম ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ সইদের বাড়িতে হামলা হল তা নয়। এর আগেও তার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। রাষ্ট্রসংঘের ঘোষিত আন্তর্জাতিক জঙ্গি হাফিজ সইদের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে ৩৫ বছরের জেল হয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন ‘জামাদ-উদ-দাওয়া’ প্রধানের। বর্তমানে পাকিস্তানের কোট লখপত জেলে হাফিজ রয়েছে বলে দাবি ইসলামাবাদের। কিন্তু সে দেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, বিস্ফোরণের সময় হাফিজ নিজের বাড়িতেই ছিলেন। বিস্ফোরণের পরে দ্রুত পাক আধাসেনা বাহিনী ‘পঞ্জাব রেঞ্জার্স’ সরিয়ে নিয়ে যায় তাকে।