সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাত্রী চাই বিজ্ঞাপনের আড়ালে প্রতারণা চক্রের ফাঁদ। বিশ্বাস করে মোটা অঙ্কের টাকাও খুইয়েছেন একাধিক ব্যক্তি। তবে শেষ রক্ষা হল না। এক ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ওই প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। জামশেদপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চক্রের পাণ্ডা কাকলি বিশ্বাসকে।
কীভাবে কাজ চালাতো ওই চক্র? জানা গিয়েছে, পত্রিকায় পাত্রী চাই বিজ্ঞাপন দিত তারা। সেখানে দেওয়া থাকত একটি ফোন নম্বর। স্বাভাবিকভাবেই বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই যোগাযোগ করতেই ওই নম্বরে। ফোনে কথা বলার পর ফেসবুক থেকে পাত্রীপক্ষকে বিভিন্ন পাত্রের ছবি পাঠানো হত। পাত্রীপক্ষ কৌতুহলবশত পাত্রের যোগাযোগ নম্বর চাইতেই বাঁধত গোল। তাদের তরফে জানানো হত যে, নম্বর দেওয়া সম্ভব নয়। নম্বর দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ দাবি করা হতো বিজ্ঞাপনদাতার তরফে। তবে বিশ্বাস অর্জনের জন্য পাত্রপক্ষের সঙ্গে কনফারেন্সে কথা বলিয়ে দেওয়া হত পাত্রীর পরিবারের। ফোনে পরিচারিকাদের পরিচয় করানো হত পাত্রের মা হিসেবে! স্বাভাবিকভাবেই পাত্রের মায়ের সঙ্গে কথা বলার পর বাড়ত বিশ্বাসযোগ্যতা। এরপরই পাত্রদের নম্বর পেতে বিজ্ঞাপনদাতার দাবি মতো অর্থ দিতে রাজি হত পাত্রীপক্ষ। টাকা পাওয়ার পর তাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করত না ওই চক্র। এভাবেই দীর্ঘদিন ব্যবসা চালাচ্ছিল অভিযুক্তরা।
[আরও পড়ুন: করোনা পর্বে বেসরকারি হাসপাতাল ঠিকমতো বেতন দিচ্ছে না, স্বাস্থ্যসচিবের দ্বারস্থ চিকিৎসকরা]
কিন্ত সমস্যা তৈর হয় সম্প্রতি। এক ব্যক্তি একইভাবে বিজ্ঞাপন দেখে ওই চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু কোথাও একটা গন্ডগোল রয়েছে, তা বুঝে বিধাননগর সাইবার থানায় (Cyber Crime Police Station) অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই শুরু হয় তদন্ত। খোঁজ খবর নেওয়ার পর জামশেদপুর থেকে চক্রের পাণ্ডা কাকলি বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: রাতভর বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ল বেলেঘাটার পুরনো বাড়ির একাংশ, ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে মৃত্যু বৃদ্ধার]
The post ফেসবুকে পাঠানো হত সুপাত্রের ছবি, মা সেজে কথা বলতেন পরিচারিকা! প্রতারণা চক্রের পর্দাফাঁস appeared first on Sangbad Pratidin.