অর্ণব দাস, বারাকপুর: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা। বিধাননগর পূর্ব এলাকার একটি হোটেলে হানা দিয়ে গ্রেপ্তার MBA পাশ যুবক। ধীমান ভট্টাচার্য নামে ওই যুবক টালিগঞ্জের বাসিন্দা। প্রায় বছরখানেক ধরে প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্ত ছিল ধীমান। তার কাছ থেকে বেশ কয়েকটি এটিএম কার্ড, পাশবুক বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা সায়ন মাইতি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ বিধাননগর পূর্ব থানা এলাকার একটি হোটেলে হানা দেয়। ওই হোটেল থেকে পুলিশ ধীমান ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনেররেটের উপনগরপাল উত্তর তথা ভারপ্রাপ্ত উপনগরপাল সাইবার ক্রাইম গণেশ বিশ্বাস রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন। বলেন, এমবিএ পাশ করে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করত ধীমান। সোশাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট ভাড়ার নাম করে বিজ্ঞাপন দেখতে পায়। বিজ্ঞাপন দেখার পর ফেসবুক একটি গ্রুপ জয়েন করে ধীমান। সেখান থেকে লিজা নামে একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়। এর পর নিজের অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়ে লেনদেনের ক্ষেত্রে ১.৮ শতাংশ হারে লভ্যাংশ পায় সে। তাতেই আরও বাড়ে লোভ। নিজের পরিচিত বেশ কয়েকজনকে অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেওয়ার কাজে লাগানোর চেষ্টা করে ধীমান।
[আরও পড়ুন: মধুচক্রের শিকার! হোটেলের শৌচাগারে তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ ঘিরে চাঞ্চল্য হরিণঘাটায়]
সেই সময় পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দা সায়ন মাইতির সঙ্গে আলাপ হয়। বারাকপুরের একটি হোটেলে সায়নকে ডেকে পাঠায় ধীমান। সেখানে দেখা করে একদিনে তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। তবে সায়নের অভিযোগ, লভ্যাংশ পাননি কিছুই। এর পর তিনি বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে ধীমানের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে ধীমানকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকেই যে যুক্ত, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই পুলিশের। আপাতত ৮ দিনের পুলিশ হেজাতে রয়েছে ধীমান। তাকে জেরা করে প্রতারণা চক্র সম্পর্কিত আরও তথ্যের খোঁজে তদন্তকারীরা।