ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: টানা একঘণ্টা বৈঠক শেষেও শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা কাটল না। সোমবার রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে আরও একদফা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তৃণমূলের আরেক সাংসদ সৌগত রায়। তবে বৈঠকে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলেন বর্ষীয়ান সাংসদ।
বৈঠকে শেষে তিনি জানান, “সবকথা প্রকাশ্যে বলা যায় না। দল ওঁর সঙ্গে কথা বলতে বলেছিল। ওঁকে সে কথা জানিয়েছি। প্রয়োজনে আবার বসব।” মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেন তিনি। বৈঠক শেষে এমনটাই জানিয়েছেন। তবে এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
[আরও পড়ুন : ‘ধর্মঘটে রাজ্যের ভূমিকা তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁত স্পষ্ট করবে’, হুঁশিয়ারি বিমান বসুর]
রাজ্যের পরিবহণ ও সেচ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা তৈরি হয়েছে। বিজেপির দাবি, তিনি তৃণমূল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে আসছেন। এদিকে ১৯ তারিখের রামনগরের সভা থেকে শুভেন্দু জানিয়েছিলেন, “মুখ্যমন্ত্রী তাড়াননি, আমিও দল ছাড়িনি।” তাঁর নামে আবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টার পড়তে শুরু করে। দলীয় পতাকা ছাড়া জনসভা করায় দলবদলের জল্পনা আরও বেড়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি। এমন পরিস্থিতিতে এদিন দ্বিতীয়বারের জন্য বৈঠকে বসেন শুভেন্দু-সৌগত।
এদিন দুপুরে পিকে-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে একদফা বৈঠক সারেন সৌগতবাবু। বৈঠকে হাজির ছিলেন সুব্রত বক্সী, পূর্ণেন্দু বসু এবং দোলা সেন। সেখানে সৌগতবাবু শুভেন্দুর দাবিদাওয়ার জানান বলে খবর। তাঁদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফের শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি। তবে সেখানে কী কথা হল তা নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত। বৈঠক শেষে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, “একটা আলোচনা চললে তা সম্পর্কে প্রকাশ্যে সব বলা যায় না। কাল তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে সব জানাব।” আগামিকালের সাংবাদিক বৈঠকের দিকে তাকিয়ে বাংলার রাজনৈতিক মহল।