সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথ্বী শ নিজেই নিজের শত্রু। স্পষ্ট এই কথা জানিয়ে দিলেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের এক শীর্ষ কর্তা। তাঁর মতে, শৃঙ্খলাভঙ্গ আর ফিটনেসের অভাব, দুটোই রয়েছে তরুণ ব্যাটারের। মাঠে কার্যত তাঁকে লুকিয়ে রাখতে হয়। উল্লেখ্য, বিজয় হাজারে টুর্নামেন্টের মুম্বই দল থেকে বাদ পড়েছেন পৃথ্বী। তারপরেই হতাশা প্রকাশ করেন সোশাল মিডিয়ায়।
একসময় তাঁর প্রতিভার তুলনা হত শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে। কিন্তু ক্রমে ভারতীয় ক্রিকেটের মূলবৃত্ত থেকে সরে গিয়েছেন পৃথ্বী শ। বাদ পড়েছেন মুম্বইয়ের রনজি দল থেকে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও নজর কাড়তে পারেননি। আইপিএলে আনসোল্ড থেকেছেন। অবশেষে বিজয় হাজারে ট্রফির দল থেকে বাদ পড়তেই সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন পৃথ্বী। ইনস্টাগ্রামে তিনি নিজের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। সঙ্গে লেখেন, ‘হে ঈশ্বর, আমাকে আর কী কী দেখতে হবে?'
সোশাল মিডিয়ায় পৃথ্বীর এহেন বিস্ফোরণের পরেই সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের মুখোমুখি হন এমসিএর শীর্ষকর্তা। তবে নিজের নাম প্রকাশে রাজি হননি। তিনি বলেন, "সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে আমরা কার্যত ১০ জন নিয়ে ফিল্ডিং করতাম। কারণ পৃথ্বীকে লুকিয়ে রাখতে হত। ওর পাশ থেকে বল গড়িয়ে গেলেও ধারেকাছে পৌঁছতে পারত না। ব্যাট করার সময়েও বল পর্যন্ত পৌঁছতে পারেছিল না। ওর ফিটনেস, আচরণ, শৃঙ্খলা- সমস্ত কিছু নিয়েই সমস্যা রয়েছে। প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য আলাদা নিয়ম তো হয় না।"
সোশাল মিডিয়ায় বিস্ফোরণ ঘটালেও কোনও লাভ হবে না বলেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এমসিএ কর্তা। তিনি জানান, রাতভর পার্টি করে সকাল ৬টার সময়ে টিম হোটেলে ফিরতেন পৃথ্বী। অনুশীলনে আসতেন না। এহেন আচরণে ক্ষুব্ধ হচ্ছিলেন মুম্বই টিমের সিনিয়ররাও। এমসিএ কর্তা বলেন, "কেউ পৃথ্বীর শত্রু নয়। ও নিজেই নিজের শত্রু।" উল্লেখ্য, পৃথ্বীকে নিয়ে প্রকাশ্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন মুম্বই অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারও।