সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: রাজ্যে দুদফায় ভোটে সেভাবে অশান্তি হয়নি। তবে তৃতীয় দফায় ভোটে মুর্শিদাবাদের বিক্ষিপ্ত অশান্তি। রাত থেকে ডোমকলে শুরু হয় বোমাবাজি। সকালেও বোমাবাজি হয়েছে একপ্রস্থ। অশান্তি রুখতে ময়দানে মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম (MD Salim)। বুথ থেকে কলার ধরে ভুয়ো এজেন্টকে বের করে দেন তিনি। যদিও অশান্তির অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির। মুর্শিদাবাদের ভোট শান্তিপূর্ণ করাই বড় চ্যালেঞ্জ নির্বাচন কমিশনের।
সকাল থেকেই পথে মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim)। প্রথমেই তিনি খবর পান রানিনগর ৩৪ বুথে সিপিএমের এজেন্টকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। মার খেয়ে ওই এজেন্ট কলাবাগানে লুকিয়ে পড়েন। এর পরই ইসলামপুরের গোপীনাথপুরে বুথ পৌঁছন সেলিম। গোপীনাথপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের বুথের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছন। কলার ধরে ভুয়ো এজেন্টকে টেনে বের করেন সেলিম। অবশেষে ওই ভুয়ো এজেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর পরই পাহাড়পুর পঞ্চায়েতের লোচনপুরে অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। অভিযোগ, বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম। তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে 'গো ব্যাক' স্লোগান দেয় বলেই অভিযোগ। পালটা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন সেলিমও। মুর্শিদাবাদের সিপিএম প্রার্থীর বিরুদ্ধে তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে। মহম্মদ সেলিমের দাবি, লোচনপুরে বুথে অবৈধ জমায়েত করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় জেলাশাসককে পদক্ষেপের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের।
[আরও পড়ুন: বিক্ষুব্ধ কাঁটাই বঙ্গ বিজেপির মূল সমস্যা, মানলেন সুকান্ত]
এদিকে, জঙ্গিপুরেও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। অজগরপাড়া ৮৮ নম্বর বুথে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন জঙ্গিপুরের বিজেপি প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষ এবং রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি গৌতম ঘোষ। তৃণমূলের নেতা গৌতমকে ধাক্কা দেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় বাহিনীর মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মালদহ উত্তর এবং মালদহ দক্ষিণ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা থেকেও অল্পবিস্তর অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে।