শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: কথা রাখলেন মন্ত্রী জাকির হোসেন (Md Zakir Hossain)। আশ্বাস মতোই মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা মৃত তপন সোরেনের পরিবারের হাতে তুলে দিলেন আর্থিক সাহায্য। জানালেন, পুলিশকে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত গত মাসে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে কাজে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘপাড়া ধলো গ্রামের বাসিন্দা বছর পঁয়এিশের তপন সোরেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করেও লাভ হয়নি। অবশেষে তিনদিন পর উদ্ধার হয় তপনের ঝুলন্ত দেহ। এরপরই বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছিল, মৃত আদিবাসী যুবক তাঁদের দলের কর্মী। সেই কারণেই শাসকদলের তরফে পরিকল্পনামাফিক তাঁকে খুন করা হয়েছে। এর কয়েকদিন পরই সুবিচারের আশায় তপন সোরেনের স্ত্রী রাখি দুই শিশুকন্যা মধুমিতা ও লক্ষ্মীকে নিয়ে হাজির হন মন্ত্রী জাকির হোসেনের কাছে। তদন্তে সাহায্যের আবেদন করেন। তখনই তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন ৫ জন প্রভাবশালী নেতা! মোদি-মমতাকে বিস্ফোরক চিঠি সুদীপ্ত সেনের]
এরই মাঝে আজ, রবিবার ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের মির্জাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আদিবাসী এলাকায় যান রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী তথা জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। সেই সময়ই মৃত তপনের বাড়িতে যান তিনি। অসহায় পরিবারের হাতে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্যে তুলে দেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। মন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, “জনতার দরবারে স্বামীর মৃত্যুর সুবিচারের আশায় এসেছিলেন রাখি সোরেন। রঘুনাথগঞ্জ পুলিশ-প্রশাসনকে বলা হয়েছে মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখার জন্য। পাশাপাশি আদিবাসী অসহায় পরিবারকে ব্যক্তিগতভাবে এক লক্ষ দশ হাজার টাকা তুলে দিলাম।” মন্ত্রীকে পাশে পেয়ে আপ্লুত সোরেন পরিবার। তাঁদের কথায়, “উনি ভগবানের দূত।”