স্টাফ রিপোর্টার: মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন কোড চালু হচ্ছে। কোন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কেমন কাজ হচ্ছে? কোন মেডিক্যাল কলেজ বা হাসপাতালে রোগীর কত চাপ? অথবা শিশু ও স্ত্রীরোগ বিভাগে কোনও বহিরাগত সমস্যা রয়েছে কিনা তা জানতে সব রাজ্যগুলিকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বলেছিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। তাতে নতুন সংযোজন হল।
কমিশনের প্রস্তাব ছিল, একটি প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে স্ত্রী, শিশু, জেনারেল আউটডোর এমনকী অস্ত্রোপচারের পর রোগীকে বাইরে নিয়ে এসে যেখানে রাখা হয় সেই জায়গার অবস্থা জানতেও যেন সিসিটিভি বসানো হয়। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, ন্যূনতম ২৪টি হাই পাওয়ার রেজোলিউশনের সিসিটিভি বসাতে হবে। এবার নতুন নির্দেশ আর সেখানে সীমাবদ্ধ থাকল না। এবার একধাপ এগিয়ে কমিশন বলেছে, চিকিৎসক, অধ্যাপকদের কলেজ বা হাসপাতালে আসা এবং যাওয়ার সময় বায়োমেট্রিক উপস্থিতি যেমন থাকবে, তার সঙ্গে আধার কার্ডও যোগ করতে হবে। এই ঘটনায় চিকিৎসকমহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। চিকিৎসক সংগঠনের একাংশের অভিযোগ, তাঁদের কাজের দক্ষতা ও নিষ্ঠা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে কমিশন।
তবে চিকিৎসক সংগঠনের এই অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিক্যাল সুপাররা। তাঁদের একটাই কথা, মেডিক্যাল কমিশন অনুমতি দেয় বলেই কলেজের পঠন-পাঠন চলে। কাজেই নজরদারি বা নির্দেশ দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার কমিশনের রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের সরকার ফেলার ষড়যন্ত্র! ফের কলকাতায় বিপুল টাকার হদিশ সিআইডির]
নতুন নির্দেশে বলা হয়েছে, যেসব মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেন্ডেন্স’ এখনও চালু হয়নি। সেখানে আগামী তিনমাসের মধ্যে এই ব্যবস্থা চালু করতে হবে এবং সমস্ত চিকিৎসক, অধ্যাপক এবং ফ্যাকাল্টির বিভাগীয় প্রধানদের বায়োমেট্রিকের সঙ্গে আধার কার্ডকে যুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন কোড চালু হবে।
আগামী তিন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ করতে হবে। নীলরতন কলেজ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডা: ইন্দিরা দে বলেছেন, “এই নিয়ম অস্বাভাবিক কিছু নয়। মেডিক্যাল কমিশন কলেজের পঠন-পাঠনের অনুমতি দেয়। এখন সে যদি বায়োমেট্রিকের সঙ্গে আধার যুক্ত করতে হবে তাহলে তাই-ই করতে হবে। স্বাস্থ্যভবন আগেই রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজে বায়োমেট্রিক চালু করেছিল। তবে আমরা হয়তো অনেকে তা মানি না। কিন্তু নিয়ম যখন চালু হয়েছে এবার অবশ্যই মানতে হবে।”
মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: রঘুনাথ মিশ্র বলেন, “কোভিডের জন্য গত দু’বছর এই কাজ বন্ধ ছিল। আগে প্যান কার্ড যুক্ত করা হয়েছিল। এখন আধার কার্ডকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। অকারণ বিরোধিতা করে কোনও লাভ নেই। সরকার যখন নির্দেশ জারি করেছে তা মানতেই হবে। কারণ কলেজের পঠন-পাঠন ও রোগী পরিষেবার জন্যও হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়েছে। তাই সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণও করা দরকার।”