সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছোট্ট একটা তথ্যের ভুল। আর তাতেই রীতিমতো ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল, করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগে কোনও ফলই নাকি মিলছে না। ল্যাঞ্চেট (Lancet) জার্নালে এই রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা রুখতে এই ওষুধের ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপায়। কিন্তু শুক্রবার যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে মাথায় হাত অনেকেরই। ওই গবেষণাপত্রের তিন গবেষকই বলছেন, যে সংস্থার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে ওঁরা রিপোর্ট বানিয়েছিলেন, তার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে। এমনকী ল্যাঞ্চেট জার্নাল থেকে সেই গবেষণাপত্রও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য তার আগে তড়িঘড়ি নিজেদের ভুল শুধরে করোনা সারাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারে সায় দিয়েছে WHO। তবে কেন এমন ভুল হল, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
৯৬ হাজার রোগীকে পর্যবেক্ষণ করে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল ল্যাঞ্চেট। তাতে বলা হয়েছিল, করোনা সারাতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের কোনও ভূমিকা নেই। উলটে হাসপাতালে থাকা রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু এখন কার্যত উলটো সুর গবেষকদের গলায়। এই গবেষণাপত্রের মূল কারিগর হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মনদীপ মেহরা, জুরিখের ইউনিভার্সিটি হাসপাতালের ফ্রাঙ্ক রাসচিজকা ও ইটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অমিত প্যাটেল নিজেদের গবেষণার তথ্য নিয়েই ধন্দে রয়েছেন। তাঁরা তৃতীয় কোনও সংস্থাকে দিয়ে সেই তথ্য ফের একবার যাচাই করে দেখতে চাইছেন। আর এই বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়ায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে শিকাগোর এক স্বাস্থ্য সমীক্ষা সংস্থা সারজিস্ফিয়ারের দিকে। তাঁরা নিজেদের তথ্য যাচাই করতে দিতে রাজি নয়। এরপরই ল্যাঞ্চেট জার্নাল থেকে ওই গবেষণাপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন : গণতন্ত্রের ধাক্কায় কুপোকাত ট্রাম্প, উত্তাল ওয়াশিংটন ডিসি থেকে সরল ফৌজ]
ওই তিন গবেষকের কথায়, “ওই সংস্থার তথ্য যাচাইয়ে আপত্তি করার পরই গবেষণাপত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছি। কারণ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে চাই না আমরা।” কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কেন শিকাগোর সংস্থাট বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিল। স্রেফ ভুল করে, নাকি এর পিছনে অন্য কোনও গভীর রহস্য লুকিয়ে আছে।
The post গোড়ায় গলদ, তথ্যে ভুল থাকায় ল্যাঞ্চেট থেকে সরল হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সংক্রান্ত নেতিবাচক রিপোর্ট appeared first on Sangbad Pratidin.