সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘সৎপাত্র’ গঙ্গারামের ‘বিদ্যে বুদ্ধি’র যে বৃত্তান্ত সুকুমার রায় জানিয়েছিলেন। তা এই বাংলার অনেকেরই জানা। ‘উনিশটিবার’ ম্যাট্রিক পরীক্ষায় পাশ করার চেষ্টা করেছিল। পারেনি। তবে চেষ্টা সে সৎভাবেই করেছিল। যা করেনি মধ্যপ্রদেশের এক ডাক্তারি পড়ুয়া। বরং পরীক্ষায় পাশ করার তাগিদে মারাত্মক কাণ্ড করে বসেন তিনি। অস্ত্রোপচার করিয়ে কানের ভিতরের বসিয়ে নেন ব্লুটুথ ডিভাইস (Bluetooth device)।
মধ্যপ্রদেশের এক বেসরকারি কলেজের পক্ষ থেকে পরীক্ষা দিতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশের মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম সূত্রে যা জানা যাচ্ছে সেই অনুযায়ী, প্রায় ১১ বার ওই পরীক্ষায় বসেছিলেন পড়ুয়া। প্রতিবারই ব্যর্থ হয়েছেন। সেই কারণেই এবার পরীক্ষায় পাশ করার জন্য মরিয়া এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: পাঁচতলা থেকে মরণঝাঁপ! রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য আর জি কর হাসপাতালে]
মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজের ডিন সঞ্জয় দীক্ষিত সংবাদমাধ্যমকে জানান, পরীক্ষা চলাকালীন বাইরের কিছু পরীক্ষক চেক করতে আসেন। তখনই পড়ুয়ার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। কিন্তু মোবাইলের সঙ্গে কানেক্ট করা ব্লুটুথ ডিভাইসটি কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আচমকা একজন পরীক্ষক পড়ুয়ার কানের ভিতরে থাকা ডিভাইসটি খেয়াল করেন।
পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুরো বিষয়টি জানা যায়। পড়ুয়া জানান, শরীরের চামড়ার সঙ্গে মিলিয়ে ব্লুটুথ ডিভাইসটি তিনি কিনেছিলেন। তারপর ইএনটি স্পেশ্যালিস্টের কাছে গিয়ে তা কানের ভিতরে বসিয়ে নেন। পড়ুয়ার কথা শুনে অবাক হয়ে যান পরীক্ষকরা। পরে অন্যান্য পড়ুয়াদের সার্চ করা হয়। আরেকজনের কাছেও ব্লুটুথ পাওয়া যায়। তবে সেটি পিন দিয়ে আটকানো ছিল। দুই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষাই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানেই দুই পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।