shono
Advertisement

মেদিনীপুর মেডিক্যালের হস্টেলে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা

মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তরুণীর বন্ধুবান্ধব এবং পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
Posted: 10:36 AM Nov 10, 2021Updated: 10:36 AM Nov 10, 2021

সম্যক খান, মেদিনীপুর: মানসিক অবসাদ নাকি অন্য কিছু? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Medinipur medical college & hospital) হস্টেল থেকে চিকিৎসক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে ঘনীভূত রহস্য। মৃত্যুর কারণ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে তাঁর বন্ধুবান্ধব এবং পরিজনদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।

Advertisement

নিহত মিনি ঘোষ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু বিভাগের পিজিটি প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। মুর্শিদাবাদের কান্দির বাসিন্দা তিনি। মঙ্গলবার সন্ধেয় হস্টেলের ঘরে দরজা বন্ধ করে ছিলেন মিনি। প্রথমে অন্যান্য পড়ুয়ারা ভেবেছিলেন ঘরের মধ্যে হয়তো বিশ্রাম নিচ্ছেন মিনি। তাই কেউই ডাকাডাকি করেননি তাঁকে। তবে এভাবে দীর্ঘক্ষণ কেটে যাওয়ায় সকলের সন্দেহ হয়। দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন পড়ুয়ারা। তা সত্ত্বেও মিনি দরজা খোলেননি। এরপরই অধ্যক্ষ-সহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় সকলকেই সেকথা জানানো হয়। খবর পাওয়ামাত্রই হস্টেলে মিনির ঘরের সামনে জড়ো হয়ে যান সকলে।

[আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল খাতা সংরক্ষণ করতে হবে স্কুলকে, নির্দেশ শিক্ষা সংসদের]

ডাকাডাকির পরেও দরজা না খোলায় বাধ্য হয়ে তা ভাঙতে হয়। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে কার্যত অবাক হয়ে যান সকলেই। তাঁরা দেখেন সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছেন মিনি। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় পুলিশ। কোতয়ালি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে দেহটি। ওই ঘর থেকে সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের সময় কোনও অস্বাভাবিকত্ব লক্ষ্য করা যায়নি।

মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান তারাপদ ঘোষ জানান, মিঠু কলেজের যেকোনও অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে যোগ দিতেন। ভীষণ মিশুকে ছিলেন তিনি। তবে স্বভাবে বরাবরই শান্ত। দিনকয়েক ধরে একটু বেশিই চুপচাপ ছিলেন মিনি। তবে এমন কাণ্ড যে ঘটতে পারে তা ভাবেননি বলেই দাবি তাঁর। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হয়েছেন মিঠু। তবে কী কারণে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই চিকিৎসক পড়ুয়া তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই ছাত্রীর পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পুলিশ। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই মিনির রহস্যমৃত্যুর কিনারা করা সম্ভব বলেই মনে করা হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: একসঙ্গে চার প্রেমিকা এসে হাজির বাড়িতে, পালানোর পথ না পেয়ে বিষ খেলেন যুবক!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement