ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: প্রায় তিরিশ দিন পর অনশন, বিক্ষোভ প্রত্যাহার করল আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের (R G Kar Medical College) পড়ুয়ারা। তাঁদের এই সিদ্ধান্তে স্বস্তিতে স্বাস্থ্য ভবন ও চিকিৎসক মহল। উল্লেখ্য, একাধিক দাবিতে গত প্রায় এক মাস ধরেই অনশন এবং বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। যার জের আর জি কর হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল।
দীপাবলির আগের সন্ধ্যা অর্থাৎ বুধবার বিক্ষোভ ও অনশনরত মেডিক্যাল পড়ুয়াদের জরুরী বৈঠক হয়। সেই আলোচনার পরেই অনশন-বিক্ষোভ প্রত্যাহার করা হল বলে আর জি কর হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর। তবে অন্য মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে আলোচনা করে মঞ্চ গঠন করে ফের দাবি আদায়ের জন্য আরও বড় আন্দোলন করা হবে বলে বিক্ষোভকারীদের তরফে জানানো হয়েছে। আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের বিক্ষোভ অনশন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যদপ্তরের প্রধান সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম।
[আরও পড়ুন: কালীপুজোর উদ্বোধন মঞ্চ থেকে ‘নাস্তিক’ সিপিএমকে পুরভোটে জোট বার্তা কংগ্রেসের]
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগ-সহ একাধিক দাবির সমর্থনে বিক্ষোভ শুরু করেন কলেজের ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। সমস্যা মেটাতে দফায় দফায় আলোচনা হয় স্বাস্থ্যকর্তাদের সঙ্গে। এমনকী, স্বাস্থ্য সচিব নিজে ছয় সদস্যের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তাঁদের সব দাবি মানা হবে বলে মৌখিক প্রতিশ্রুতিও দেন। বিক্ষোভরত চিকিৎসক ও পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের তরফে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাওয়া হয়। তাঁদের বিক্ষোভের জেরে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছিল বলে বারবার অভিযোগ উঠছিল। যদিও পরে তাঁরা কাজে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
চিকিৎসক পড়ুয়াদের বিক্ষোভ, অনশনের জল হাই কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। এরমধ্যেই ইন্টার্ন ও জুনিয়র ডাক্তারদের সবাই কাজে যোগ দেন। অবশেষে দীপাবলির আগে অনশন তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন পড়ুয়ারা। যার জেরে স্বস্তিতে হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে কর্তৃপক্ষ।