সম্যক খান, মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুরের পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (West Medinipur)। মহিলাদের জন্য ফতোয়া জারি করে বিতর্কে জড়াল ওই জেলার একটি ক্লাব। যদিও পরবর্তীতে নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়িয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
ব্যাপারটা কী? পশ্চিম মেদিনীপুর শহরের একপ্রান্তে রাঙামাটি এলাকা। সেখানে একটি মাঠ রয়েছে। যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে ডায়মন্ড স্পোর্টিং ক্লাব। দিন কয়েক আগে ওই ক্লাবের বাইরে একটি ব্যানার দেখা যায়। তাতে লেখা ছিল, মাঠে খেলার সময় বিকেল ৪ টা থেকে রাত ৮ টা। সেখানেই লেখা ছিল, মাঠে মহিলাদের জন্য বরাদ্দ সময় সন্ধে সাড়ে ৬ টা পর্যন্ত। অর্থাৎ মাঠে পুরুষদের প্রবেশে আপত্তি না থাকলেও ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ছ’টা পেরলে মহিলারা আর মাঠে থাকতে পারবেন না। এই ‘ফতোয়া’ পোস্টার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
[আরও পড়ুন: রাতের চলন্ত ট্রেনেই সন্তান প্রসব যুবতীর, মা ও সদ্যোজাতকে আগলে রাখল আরপিএফ]
যদিও বিষয়টি চাউর হতেই মাঠ থেকে সরানো হয়েছে ব্যানার। এ বিষয়ে ক্লাবের সেক্রটারি রূপক মণ্ডল বলেন, “আমরা নারী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে এই ব্যানার দিয়েছিলাম। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ ছিল না। মানুষ ভুল বোঝায় ব্যানারটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।”
সম্প্রতি মহিষাদলের (Mahishadal) চকদ্বারিবেড়্যার গ্রাম্য কমিটি একগুচ্ছ ফতোয়া জারি করেছিল। তা ছাপিয়ে গ্রামের সকলের বাড়িতে বাড়িতে বিলি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, গ্রামের কারও কোনও সমস্যা হলে থানায় যাওয়া চলবে না। নিজের সমস্যা জানাতে হবে গ্রাম্য কমিটিকে। বাড়িতে কোনও মাঙ্গলিক কিংবা পারলৌকিক কাজ করতে গেলে বসতে হবে গ্রাম্য কমিটিকে নিয়ে। গ্রামের কোনও ছেলে না জানিয়ে বিয়ে করে বউ নিয়ে ফিরলে অথবা গ্রামের মেয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে গেলে, গ্রাম্য কমিটির ধার্য চাঁদার নামে জরিমানা দিতে হবে। সেই ঘটনায় পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি পশ্চিম মেদিনীপুরে।