সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যুগে লক্ষ টাকার সম্পত্তি তেমন বড় বিষয় নয়। লক্ষপতি অনেকে মানুষই হয়ে থাকেন। আচ্ছা, পায়রা যদি লাখপতি হয়? গল্প নয় সত্যি! এ ভারতবর্ষেই এমন কিছু পায়রা রয়েছে, যাদের সম্পত্তির পরিমাণ জানলে অবাক হবেন।
রাজস্থানের নওগড়ের ছোট্ট শহর জাসনগর। সেখানেই এই ধনী পায়রাদের বাস। প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ আয় এই পায়রাদের। শুধু তাই নয়, লক্ষাধিক টাকার সম্পত্তি রয়েছে। স্থানীয়দের মতে এই পায়রাদের সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এলাকায় প্রায় ২৭টি দোকান রয়েছে এই পায়রাদের নামে। মোট ১২৬ বিঘা জমি রয়েছে। ব্যাংকে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা গচ্ছিত।
[আরও পড়ুন: Coronavirus Update: একদিনে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৮০ হাজার ছুঁইছুঁই, শুরু বুস্টার ডোজের টিকাকরণ]
এখানেই শেষ নয়, আরও সম্পত্তি রয়েছে এই পায়রাদের নামে। প্রায় দশ বিঘা জমির উপর তৈরি ৪০০টি গোশালা। যেখানে প্রচুর গরুর রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। আর তাঁদের দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রিও করা হয়। শুধুমাত্র দোকানগুলি থেকে প্রতিমাসে পায়রাদের রোজগার হয় ৮০ হাজার টাকা। অর্থাৎ শুধুমাত্র দোকান ভাড়া দিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা রোজগার ছোট্ট এই পাখিদের। পায়রাদের দেখাশোনার জন্য কিছু টাকা খরচ হয়। কিছু টাকা দিয়ে দানধ্যান করা হয়। বাকি টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত হিসেবে রেখে দেওয়া হয় ‘কবুতরণ ট্রাস্টে’র নামে।
হিন্দি ভাষায় ‘কবুতর’ শব্দের অর্থ পায়রা (Pigeon)। সেই থেকেই এই ট্রাস্টের নাম কবুতরণ ট্রাস্ট। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় চার দশক আগে এই এলাকার পায়রাদের রক্ষণাবেক্ষণের কথা ভেবে এক শিল্পপতি এই ট্রাস্ট গঠন করেছিলেন। এই কাজে তাঁকে সাহায্য করেছিলেন এলাকার প্রাক্তন সরপঞ্চ রামদীন চৌটিয়া এবং তাঁর গুরু মুরুধর কেশরী। অসহায় পাখিগুলির খাবার ও জলের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, সেই কারণেই কিছু পুঁজি দিয়ে এই ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছিল। যা আজ ফুলেফেঁপে বিশাল আকার ধারণ করেছে। পায়রাদের এই বিপুল সম্পত্তির দেখাশোনা স্থানীয়রাই করেন।