shono
Advertisement

দলে ভারী হচ্ছে বিদ্রোহীরা! উত্তরাখণ্ডে লকেট-শান্তনুর প্রচার ঘিরে নয়া অস্বস্তি বঙ্গ বিজেপিতে

লকেটের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, যেভাবে রাজ্য বিজেপি চলছে তাতে তিনি হতাশ এবং বিরক্ত।
Posted: 07:34 PM Feb 09, 2022Updated: 07:34 PM Feb 09, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: দলে ভারী হচ্ছে বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহীরা! উত্তরাখণ্ডে শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বৈঠক ঘিরে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে গেরুয়া শিবিরে। উত্তরাখণ্ডের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের প্রচারে বাংলায় দলের বিক্ষুব্ধ শিবিরের মুখ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকেই বেছে নিয়েছেন সেখানকার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা লকেট চট্টোপাধ্যায়। উত্তরাখণ্ডের রুদ্রপুর বিধানসভা এলাকায় বাঙালি পল্লিতে শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে প্রচার করালেন লকেট। এরপরই দলের মধ্যে প্রশ্ন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বাদ দিয়ে উত্তরাখণ্ডের বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় ভোটের প্রচারের জন্য শান্তনু ঠাকুরকেই বা কেন আমন্ত্রণ জানালেন লকেট?

Advertisement

 

এই মুহুর্তে রাজ্য বিজেপিতে (BJP) মুষলপর্ব চলছে। যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সেই বিক্ষুব্ধ শিবিরের নেতৃত্বে শান্তনু ঠাকুর। বঙ্গ বিজেপির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, শুভেন্দুও (Suvendu Adhikari) তো বাংলার নেতা। তাঁকে বাদ দিয়ে কেন শান্তনু ঠাকুরকে উত্তরাখণ্ডে ডাকলেন লকেট? যদিও লকেটের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্র বলছে, উত্তরাখণ্ডে বহু মতুয়া রয়েছে। মতুয়াদের নেতা হিসেবেই শান্তনু প্রচারে গিয়েছেন। তবে দলের একাংশ কিন্তু শান্তনুকে প্রচারে ডাকার পিছনে নতুন সমীকরণই দেখছে।

[আরও পড়ুন: চার পুরনিগমের ভোটে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, মোতায়েন হচ্ছে ৯ হাজার পুলিশ]

গত কয়েকমাস ধরেই বাংলায় একের পর দলীয় কর্মসূচি লকেটহীন। হুগলির সাংসদ মাটি কামড়ে পড়ে উত্তরাখণ্ডে। সেখানে বাংলার এই দাপুটে সাংসদকে বিধানসভা নির্বাচনের দায়িত্ব দিয়েছেন শাহ-নাড্ডা। কিন্তু বাংলা থেকে একেবারেই উধাও কেন তিনি? লকেটের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, যেভাবে রাজ্য বিজেপি চলছে তাতে তিনি হতাশ এবং বিরক্তও বটে। রাজ্যেও লকেটকে যথাযথ কোনও কাজ দেওয়া হয়নি। সম্ভবত সেই কারণেই নিজের মতো করে উত্তরাখণ্ডে দলের কাজ করছেন হুগলির সাংসদ। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বও মনে করছেন, লকেট ভাল কাজ করছে। এর মধ্যেই খবর, উত্তরাখণ্ডের ভোট মিটলেই বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহী নেতারা দেখা করবেন লকেটের (Locket Chatterjee) সঙ্গে। রাজ্যের পরিস্থিতির কথা তাঁরা বিস্তারিত জানাবেন তাঁকে। দলীয় সূত্রে খবর, লকেট চট্টোপাধ্যায়ও মনে করেন বঙ্গ বিজেপিতে আদি নেতাদের স্বীকৃতি দরকার। তারা যাতে কোণঠাসা না হন সেটা নিয়েও দিল্লিতে কথা বলতে পারেন তিনি। কারণ, বাংলায় তৎকাল বিজেপি নেতাদের কোনও জনভিত্তি নেই। একেবারেই ব্যক্তিস্বার্থের অঙ্কে তারা বঙ্গ বিজেপির দখল নিতে চাইছে। লকেট বাংলায় দলের পুরনো নেতাদের পক্ষেই রয়েছেন। বিক্ষুব্ধ শিবিরও এমনটাই মনে করছে।

[আরও পড়ুন: SSC গ্রুপ ডি নিয়োগ: চতুর্থ শ্রেণির ৫৭৩ কর্মীর নিয়োগ বাতিল, নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]

আগামী সপ্তাহে বিক্ষুব্ধ শিবিরের দুই নেতা দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে লকেট-সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও সাংসদদের সঙ্গে তাদের কথা হতে পারে। ভোটপর্ব মিটলে ১০ মার্চের পর বিজেপির বিদ্রোহ নিয়ে বাংলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে অমিতাভ বিরোধীতা যাতে উঠে আসে তাই দলের সাংসদ-বিধায়কদের তাদের পক্ষে আনতে চাইছে বিক্ষুব্ধরা। দলীয় সূত্রে এমনটাই খবর। এদিকে, বিক্ষুব্ধ শিবিরের এক নেতা মঙ্গলবার জানিয়েছেন, উত্তরাখণ্ডে ভোট প্রচারের ফাঁকেই অমিতাভ চক্রবর্তী বিরোধী অবস্থান নিয়ে লকেটের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্তনু ঠাকুর। এসব কোনও বিষয়েই অবশ্য লকেটের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বঙ্গ বিজেপির নেতারাও এই বৈঠককে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ। বিজেপির দলীয় স্তরের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিনরাজ্যে প্রচারে যেতেই পারেন। এতে এত জটিল হিসাব করার কিছু নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement