সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএনবি কেলেঙ্কারির (PNB Scam) অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) ভারতে ফেরানো নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। ইতিমধ্যে চোকসিকে ভারতে প্রত্যর্পণের জন্য ডোমিনিকায় বিশেষ বিমানও পাঠিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু অ্যান্টিগা থেকে কীভাবে মেহুল ডোমিনিকায় (Dominica) গেলেন? তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটার নাম নেই। এরই মধ্যেই নাকি আবার অসুস্থও হয়ে পড়েছেন চোকসি। সেজন্য তাঁকে হাসপাতালেও ভরতি করা হয়েছে। তবে তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। এমনটাই দাবি একাধিক দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমের।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অসুস্থ মেহুল চোকসিকে ডোমিনিকার রাজধানী রোসেউর ডোমিনিকা-চিন ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তবে তাঁর ঠিক কী হয়েছে, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। অবশ্য চোকসির করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। জানা গিয়েছে, ৬২ বছরের চোকসিকে কড়া পাহাড়ায় রাখা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ওই সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চোকসির অ্যান্টিগার আইনজীবী জাস্টিম সিমোন খবরটির সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। বলেছেন, “চোকসিকে অনেক ভুয়ো খবর সংবাদমাধ্যমে পরিবেশন করা হচ্ছে। যা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। তবে এক্ষেত্রে খবরটি সত্যি।”
[আরও পড়ুন: ভারত থেকে পাঁচ হাজার লিটার বিষ কিনতে চায় অস্ট্রেলিয়া, কারণ জানলে অবাক হবেন]
অ্যান্টিগা ও বারবুডার (Antigua and Barbuda) নাগরিক মেহুল ডোমিনিকায় ধরা পড়েন কয়েক দিন আগে। প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল, আসলে কিউবায় পালাচ্ছিলেন তিনি। যেহেতু সেখানে প্রত্যর্পণের কোনও আইন নেই, তাই কিউবাতেই যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে ধরা পড়ে যান ডোমিনিকায়।যদিও তাঁর আইনজীবীর দাবি, অপহরণ করা হয়েছিল কুখ্যাত হীরে ব্যবসায়ীকে। তাঁকে জেলে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে জেলবন্দি ব্যবসায়ীর চোখ ফুলে লাল। হাতে কালশিটে, গভীর ক্ষত। কোথাও কোথাও পুড়ে যাওয়ার দাগও রয়েছে। তবে সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন। ছবিটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তুলেছে নাকি চোকসির আইনজীবীর মারফত প্রকাশ্যে এসেছে, তাও স্পষ্ট নয়।
এদিকে তিনি ধরা পড়ার পরই তাঁকে দেশে ফেরানো নিয়ে অ্যান্টিগা সরকার, ডোমিনিকা সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে অদ্ভুত এক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। অ্যান্টিগা (Antiga) সরকার ভারতের পাশে। তাঁরা চাইছে চোকসিকে তাঁদের দেশে না ফিরিয়ে সরাসরি ফেরানো হোক ভারতে। কারণ অ্যান্টিগায় গেলেই সেদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে আইনি সুরক্ষা পেয়ে যাবেন চোকসি। সেই মতো ভারত সরকারের তরফে হীরে ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের কাগজপত্র ডোমিনিকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ডোমিনিকার আদালতের নির্দেশে ২ জুন পর্যন্ত সেখানকার পুলিশের হেফাজতে আছেন হীরে ব্যবসায়ী। আগামী বুধবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, বুধবারের শুনানিতে ভারত সরকার প্রমাণ করার চেষ্টা করবে, মেহুল চোকসি সত্যিই ভারত থেকে পলাতক এবং তাঁর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ আছে।