সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিএনবি কেলেঙ্কারির (PNB Scam) অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসিকে (Mehul Choksi) ভারতে ফেরানো নিয়ে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। এদিকে অ্যান্টিগা থেকে কী ভাবে মেহুল ডোমিনিকায় (Dominica) গেলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা আর কাটার নাম নেই। এরই মধ্যে নতুন দাবি অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর দাবি, আচমকা তাঁদের দেশ ছেড়ে মেহুলের ডোমিনিকায় যাওয়ার পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। সম্ভবত নিজের বান্ধবীকে নিয়ে ‘রোম্যান্টিক ট্রিপ’-এ গিয়েছিলেন পলাতক হীরে ব্যবসায়ী!
অ্যান্টিগা ও বারবুডার (Antigua and Barbuda) নাগরিক মেহুল ডোমিনিকায় ধরা পড়েন কয়েক দিন আগে। প্রথম থেকেই শোনা যাচ্ছিল, আসলে কিউবায় পালাচ্ছিলেন তিনি। যেহেতু সেখানে প্রত্যর্পণের কোনও আইন নেই, তাই কিউবাতেই যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে ধরা পড়ে যান ডোমিনিকায়। যদিও তাঁর আইনজীবীর দাবি, অপহরণ করা হয়েছিল কুখ্যাত হীরে ব্যবসায়ীকে। তাঁকে জেলে মারধর করার অভিযোগও উঠেছে। যে ছবি প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে জেলবন্দি ব্যবসায়ীর চোখ ফুলে লাল। হাতে কালশিটে, গভীর ক্ষত। কোথাও কোথাও পুড়ে যাওয়ার দাগও রয়েছে। তবে সেই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন। ছবিটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তুলেছে নাকি চোকসির আইনজীবীর মারফত প্রকাশ্যে এসেছে, তাও স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: উপকূলে রাসায়নিক ভরতি জাহাজে আগুন, অ্যাসিড বৃষ্টির আশঙ্কা শ্রীলঙ্কায়]
এদিকে তিনি ধরা পড়ার পরই তাঁকে দেশে ফেরানো নিয়ে অ্যান্টিগা সরকার, ডোমিনিকা সরকার এবং ভারত সরকারের মধ্যে অদ্ভুত এক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। অ্যান্টিগা (Antiga) সরকার ভারতের পাশে। তাঁরা চাইছে চোকসিকে তাঁদের দেশে না ফিরিয়ে সরাসরি ফেরানো হোক ভারতে। কারণ অ্যান্টিগায় গেলেই সেদেশের নাগরিক হওয়ার সুবাদে আইনি সুরক্ষা পেয়ে যাবেন চোকসি। সেই মতো ভারত সরকারের তরফে হীরে ব্যবসায়ীর প্রত্যর্পণের কাগজপত্র ডোমিনিকায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে ডোমিনিকার আদালতের নির্দেশে ২ জুন পর্যন্ত সেখানকার পুলিশের হেফাজতে আছেন হীরে ব্যবসায়ী। আগামী বুধবার তাঁকে ফের আদালতে তোলা হবে। সূত্রের খবর, বুধবারের শুনানিতে ভারত সরকার প্রমাণ করার চেষ্টা করবে, মেহুল চোকসি সত্যিই ভারত থেকে পলাতক এবং তাঁর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ আছে।
যদিও চোকসির আইনজীবীর দাবি, অ্যান্টিগা থেকে কী ভাবে মেহুল ডোমিনিকায় গেলেন, সেটি স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে ভারতে ফেরানোর কোনও প্রশ্নই ওঠে না। কারণ তিনি মনে করেন, নিজের ইচ্ছায় অ্যান্টিগা ছাড়েননি মেহুল। তাঁর আশঙ্কা, অ্যান্টিগা থেকে জোর করে মেহুলকে তুলে আনা হয়েছে। এরই মধ্যে এবার অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রীর এমন দাবি সামনে এল। যেখানে দাবি করা হল, অপহরণের প্রশ্নই নেই। বান্ধবীকে নিয়ে অভিসারে গিয়েছিলেন পলাতক হীরে ব্যবসায়ী।