বিক্রম রায়, কোচবিহার: কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের করণে রাতবিরেতে কাজ খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের। চুরি নাকি নথি লোপাট? আধিকারিকদের গতিবিধি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় বাসিন্দারা দপ্তরের সামনে বিক্ষোভও দেখান। এই ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিরোধীদের দাবি, তথ্য লোপাটের চেষ্টায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। যদিও মুখে কুলুপ শাসকদলের।
শুক্রবার গভীর রাতে স্থানীয়রা দেখেন খোলা মেখলিগঞ্জের খাদ্য নিয়ামকের করণ। রাতে অফিসে চোর ঢুকেছে সন্দেহে অফিসের সামনে জড়ো হন এলাকাবাসী। এরপরেই অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকেরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ জাগে সাধারণ মানুষের মধ্যে। দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উপস্থিত সাধারণ মানুষ। পরে অফিসের দরজা বন্ধ করে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও তারপর আধিকারিকরা বেরিয়ে যান অফিস থেকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কিছু বলতে চাননি।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দু’সপ্তাহ পরই বাগুইআটিতে তরুণীর রহস্যমৃত্যু, ফ্ল্যাটের নিচ থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ]
এই ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিরোধীদের দাবি, বামেদের খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন পরেশ অধিকারী অন্যায়ভাবে অনেককেই রেশন কার্ড তৈরি করে দিয়েছিলেন। সেই সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণ লোপাটেরই চেষ্টা করছিলেন আধিকারিকরা। যদিও এ বিষয়ে শাসকদল মুখে কুলুপ এঁটেছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এসএসসি দুর্নীতিতে নাম জড়ায় পরেশ অধিকারীর। অভিযোগ ওঠে, রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন বেআইনিভাবে তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার স্কুলে চাকরির বন্দোবস্ত করেছিলেন তিনি। কলকাতা হাই কোর্ট পর্যন্ত মামলার জল গড়ায়। হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারান পরেশকন্যা অঙ্কিতা। দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হয় বেতন। তাঁর পরিবর্তে এখনও ওই পদে চাকরি করছেন কোচবিহারের ববিতা সরকার। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একাধিকবার পরেশ অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদও করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তারই মাঝে ফের তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে কাঠগড়ায় পরেশ অধিকারী। যদিও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।