রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে সিপিএমের (CPM) ছাত্র সংগঠন এসএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষের কাছাকাছি বেড়েছে। ২০১১ সালের পর প্রথমবার এ রাজ্যে ৮ লক্ষ সদস্যপদের গণ্ডি টপকালো এসএফআই (SFI)। ছাত্র সংগঠনের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে এমনই দাবি করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৮,৩৯,১৮৫ সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে সংগৃহীত সদস্য সংখ্যা ছিল ৭,৪৪,৩০৬জন।
এসএফআইয়ের পেশ করা এই হিসেব নিয়ে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলের ছাত্র-যুব নেতৃত্ব (TMCP, TMYC)। এই হিসেবে গণ্ডগোল রয়েছে বলে মত তৃণমূল ছাত্র-যুব নেতাদের। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর বক্তব্য, যাদের (এসএফআই) সদস্যই নেই কলেজে কলেজে, তাদের এই রিপোর্ট হতে পারে না। হিসেবে জল মেশানো আছে বলে দাবি তাঁর। তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য (Debangshu Bhattacharya) সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘প্রতিবারই খবরে দেখা যায় এসএফআই-ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্য সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিবারই খবরে দেখি ওদের একবারের ব্রিগেডের ভিড় নাকি অন্যবারের ব্রিগেডের ভিড়কে ছাপিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই মানুষগুলো কি ভোট দেয়? এটা বড় প্রশ্ন। দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যাদের সদস্য বাড়ছে, ব্রিগেডে ভিড় হচ্ছে, কিন্তু সেই দলটাকে ভোট দিচ্ছে না। সিপিএমকে নিয়ে গবেষণা করা যেতে পারে।’’
[আরও পড়ুন: দীর্ঘ লড়াই শেষ, প্রয়াত রামকৃষ্ণ মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বামী প্রভানন্দ মহারাজ]
দেবাংশুর কটাক্ষ, ‘‘হতে পারে এবিভিপি’র (ABVP) সদস্য সংখ্যা কমে এসএফআই বাড়ছে। আর যুব মোর্চা বিজেপি কমছে, তাই ডিওয়াইএফআই বাড়ছে।’’ এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যর পালটা বক্তব্য, ‘‘এবিভিপির সদস্য সংখ্যা কমলে তো সেগুলি তৃণমূলে জমা হওয়ার কথা।’’ সৃজনের দাবি, ছাত্রদের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এসএফআই ময়দানে লড়াই করছে, তারই প্রতিফলন হচ্ছে সদস্যবৃদ্ধি।