সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গসিপ নাকি মহিলাদের চিরন্তন সঙ্গী। কর্মক্ষেত্রে হোক বা গেরস্থালির কাজের ফাঁকে, মহিলারা নাকি পরনিন্দা পরচর্চা ছাড়া থাকতেই পারে না। কথাটা নেহাত ফেলে দেওয়ার মতো নয়। বাস্তব জীবনে তো এমন ঘটনা প্রায়ই দেখা যায়। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষা করেছিল এই গসিপ নিয়ে। সেখানে প্রকাশ পেয়েছে দিনে মানুষ অন্তত ৫২ মিনিট পরচর্চা না করতে পারলে ঘুম হয় না মানুষের। তবে আরও একটি তথ্য এই সঙ্গে প্রকাশ পেয়েছে। সমীক্ষা বলছে মহিলাদের তুলনায় পুরুষরা নাকি বেশি গসিপ করতে পছন্দ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে ৪৬৭ জনকে নিয়ে সমীক্ষাটি করা হয়। এর মধ্যে ২৬৯ জন মহিলা ও ১৯৮ জন পুরুষ। এদের সবারই বয়স ১৮ থেকে ৫৮-র মধ্যে। সারাদিন তাঁরা যে কথাবার্তা বলেন, তার ১০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়। পরে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট শতাংশ সময় তাঁরা স্রেফ পরনিন্দা পরচর্চা করেই কাটিয়েছেন। হিসেব করে দেখা গিয়েছে এই সময়টা দিনে গড়ে প্রায় ৫২ মিনিট।
[ আরও পড়ুন: পাকিস্তানে থেকেই লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিলেন শতাধিক ভারতীয় ]
কোন কোন বিষয় নিয়ে মূলত হয় গসিপ? দেখা গিয়েছে, কমবয়সীরা প্রধানত নেতিবাচক গসিপের দিকে আকৃষ্ট হয় বেশি। তা ছেলে হোক কি মেয়ে হোক, তাদের গসিপের বিষয়বস্তু থাকে নিন্দে করা। জীবনে উন্নতি করার আলোচনার থেকে এ ওর নিন্দে করার দিকেই তাদের নজর বেশি। কিন্তু বয়স যত বাড়তে থাকে এই প্রবণতা ততই কমতে থাকে। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করার পর দেখা যায় গসিপের সময় ক্রমশ কমতে থাকে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগ আলোচনাই হয় কাজ সংক্রান্ত। এছাড়া কাজের বাইরে যা কথা হয়, তা নেহাতই সহকর্মী বা বন্ধুদের সঙ্গে ঠাট্টা-ইয়ার্কি। আর যেটুকু পরনিন্দা পরচর্চা হয়, তা ক্ষণিকের জন্যই। কেটেছেঁটে গসিপ পর্ব ওই ৫২ মিনিটের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়।
সমীক্ষায় আরও একটি তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তা হল পুরুষরা মহিলাদের থেকে বেশি নেতিবাচক সমালোচনা করে। অনেকসময় দেখা গিয়েছে পরচর্চা করতে শুরু করলেও খুব বেশি তাড়তাড়ি রণে ভঙ্গ দেন মহিলারা। পুরুষরা এমনিতে এসবে খুব একটা মজে না। কিন্তু শুরু করলে চর্চা চলে বেশ কিছুক্ষণ।
[ আরও পড়ুন: রাশিয়ার পর এবার মেক্সিকো, বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ১৪ ]
The post গড়ে একঘণ্টা পরচর্চায় মজে আমআদমি, নারীর চেয়ে এক্ষেত্রে এগিয়ে পুরুষরাই appeared first on Sangbad Pratidin.