সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাতৃত্বের কারণে হোক কিংবা যৌনতার ক্ষেত্রে-নারীদেহে স্তনের আলাদা গুরুত্ব আছে৷ শুধু শিশুপালনেই যে নারীদেহে স্তন কার্যকরী তা তো নয়, তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে যৌনতার হাতছানিও৷ চারপেয়ে থেকে দ্বিপদী হচ্ছে যখন মানুষ, তখনই নারীদেহের স্তনের উপর এ গুরুত্ব আরোপ হয়৷ একদিকে যেমন তা যৌন উত্তেজনার ইশারা দেয়, তেমনই তা পরবর্তীকালে মাতৃত্বেও সহায়ক হয়৷ কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে এ দুটোর কোনওটাই প্রয়োজনীয় নয়৷ তাহলে পুরুষদের স্তনবৃন্ত থাকে কেন?
এ প্রশ্ন বিজ্ঞানীদের বহু ভাবিয়েছে৷ কেনই বা পুরুষের স্তনগ্রন্থি ও বৃন্ত থাকে? কেনই বা তা নারীদেহের মতো পরিণত হয় না, তা বহুদিন ছিল জটিল ধাঁধা৷ প্রয়োজনীয়তার দিক থেকে বিচার করে পুরুষ স্তনবৃন্তের তেমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ মেলে না৷ তাহলে কেনই বা পুরুষশরীরে অপরিহার্য হল এটি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ফিরে যেতে হবে মানুষের সৃষ্টির একেবারে গোড়ায়৷
পুরুষের স্তনবৃন্ত থেকে মনে হতেই পারে, সব পুরুষের মধ্যেই কোথাও না কোথাও একটু নারী সত্বা থাকে? আর সব নারীর মধ্যে লুকিয়ে থাকে পুরুষ সত্তা! সত্তার এই বিভাজনে এগিয়ে নারীরাই৷ কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় জানা গিয়েছে মাতৃগর্ভে প্রত্যেক ভ্রুণের প্রথম আত্মপ্রকাশ হয় নারী হিসেবেই৷ আর এর প্রমাণ হিসেবে জন্মের পরও পুরুষ দেহে থেকে যায় স্তনবৃন্ত৷
জানা গিয়েছে, গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েক সপ্তাহে ভ্রুণের বেড়ে ওঠা নারী হিসেবেই৷ দীর্ঘ আট সপ্তাহ পর যদি মায়ের দেহ থেকে Y ক্রোমোজম সেই অপরিণত X এক্স ক্রোমোজমের সঙ্গে মিলিত হয়, তবেই সেই ভ্রুণ পুরুষের চিহ্ন নিয়ে বাড়তে শুরু করে৷ আর যদি মায়ের দেহে Y ক্রোমোজম না থাকে, তাহলে হয় নারীশিশুর জন্ম৷
অতএব, প্রত্যেক পুরুষের স্তন তার নারী সত্বারই প্রতীক৷ তাতে থাকে মহিলাদের মতোই স্পর্শ কাতরতা৷ যৌন উত্তেজনায় তাই নারীদেহের মতো জেগে ওঠে পুরুষ স্তনবৃন্তও. তাই, বিজ্ঞানীদের দাবি স্তন ক্যান্সার শুধুমাত্র যে মহিলারদেরই হতে পারে তা নয়, এই রোগ দেখা যেতে পারে পুরুষদের মধ্যেও৷ যদিও সম্ভাবনা খুবই কম৷ মাত্র ১ শতাংশ৷
The post জানেন, কেন পুরুষ দেহে থাকে স্তনবৃন্ত? appeared first on Sangbad Pratidin.