নন্দন দত্ত, বীরভূম: চিকিৎসার সামর্থ্য নেই বাবা মায়ের। সেই কারণেই দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হচ্ছে ১৪ বছরের নাবালিকাকে। সাহায্যের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও সুফল মেলেনি বলেই দাবি পরিবারের। ভবিষ্যৎ কী? দুশ্চিন্তায় পরিবার।
বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পণ্ডিতপুর এলাকার হালসতের কলোনির বাসিন্দা ওই ১৪-এর কিশোরী। বাবা কার্ত্তিক বাগদি, মা শকুন্তলা। জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই মূক ও বধির ওই নাবালিকা। গত সাত বছর আগে সেই সঙ্গে যোগ হয়েছে মানসিক সমস্যা। যে কোনও সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। ঘটিয়ে ফেলে নানারকম কাণ্ড। কী উপায়? অগত্যা মেয়েকে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাবা-মা। বন্দি হয়েই কাটছে কৈশোর।
[আরও পড়ুন: নাবালিকা বোনকে বেচে দিয়েছে বাবা! পুলিশের দ্বারস্থ দিদি]
নাবালিকার মা শকুন্তলা বাগদি বলেন, নাবালিকার দিদি ও ভাই স্বাভাবিক। শুধু মেজো মেয়ে আলাদা। ওকে ঘরে বেঁধে রেখে কাঠ কুড়তে যান তিনি। কারণ, না গেলে রান্না চড়বে না। এত দারিদ্রতা, তা সত্ত্বেও মেলে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, রেশনের চাল। স্বামী কার্ত্তিক বাগদি ভিক্ষে করে যা আনেন, তাতেই চলে পেট। চিকিৎসা তাঁদের কাছে স্বপ্নের মতো। নাবালিকার বাবা বলেন, “পঞ্চায়েতের সদস্য থেকে বিধায়ক, বিডিও এমনকী সব দলের কাছে নিয়ে গিয়েছি। বলেছি, একটু চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিন। যাতে মেয়েকে বেঁধে রাখতে না হয়। কিন্তু কেউ দেখেনি।”