শংকর কুমার রায়, রায়গঞ্জ: গভীর রাতে ঘুম থেকে তুলে চা বাগানে নিয়ে গিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। গোটা ঘটনায় ছড়িয়েছে তীব্র চাঞ্চল্য। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও চা শ্রমিকরা।
ঘটনা চোপড়া থানার কাচাকালি এলাকার চা বাগানের (Tea Garden)। নির্যাতিতা মঙ্গলবার জানান, তিনি ফুটপাতেই রাতে ঘুমান। সেখান থেকে গতকাল রাতে তাঁকে তুলে নিয়ে যায় দু’জন। টেনে নিয়ে যাওয়া হয় চা বাগানের ভিতর। তারপরই তাঁর সঙ্গে কুকর্ম করে তারা। পরের দিন সকালে কাজ করতে এসে বাগান থেকে কার্যত বিবস্ত্র অবস্থায় ওই মহিলাকে বেরতে দেখেন এক চা কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের দাবি, আগের দিনও ওই মহিলাকে এই এলাকায় দেখা গিয়েছিল। তাই মনে করা হচ্ছে তিনিও চা বাগানেই কাজ করেন।
[আরও পড়ুন: জল্পনাই সার! কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না প্রশান্ত কিশোর, জানিয়ে দিল সোনিয়ার দল]
মহিলার অবস্থা দেখে সন্দেহ হতেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে নির্যাতিতাকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য পাঠান হাসপাতালে। এদিকে, স্থানীয় ও চা বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, গণধর্ষণের (Gang Rape) শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। তবে ইসলামপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলছেন, ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই প্রাথমিক ধারণা। মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলা সেখানে কী করছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। মেডিক্যাল রিপোর্ট এলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।
ঘটনার পর চুপচাপ থাকলেও পরে এ নিয়ে মুখ খোলেন নির্যাতিতা। তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেই অভিযোগ করেন। জানা গিয়েছে, চা বাগানের ভিতর থেকে মহিলার সায়া ও শাড়ি পাওয়া গিয়েছে। পরে তাঁকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে গায়ে কাপড় চাপা দেন স্থানীয় বাসিন্দা মুকেশ সিং।